বিক্ষোভ: বাস না চালানোর অনুরোধ। জলপাইগুড়ি। ছবি: সন্দীপ পাল
সপ্তাহের প্রথম দিন, তবে দেখা গেল না জলপাইগুড়ির কদমতলার পরিচিত জমজমাট চিত্রটা। দোকানপাট, শপিং মল ছিল বন্ধ। রাস্তায় লোকজন থাকলেও সংখ্যায় ছিল অনেক কম।
শান্তিপাড়া বাসস্ট্যান্ডেও যাত্রীদের ভিড় সোমবার চোখে পড়েনি। বন্ধ ছিল বেসরকারি বাস পরিষেবা। সরকারি বাস চললেও যাত্রী সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। টাউন স্টেশনে সকালে হলদিবাড়ি শিলিগুড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেনেও আনাজ ব্যবসায়ীদের ভিড় বা যাত্রীদের হুড়োহুড়ি এদিন চোখে পড়েনি। বন্ধ সর্বাত্মক হয়েছে, দাবি ধর্মঘটকারীদের। এদিন কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।
এদিন সকাল থেকেই মাছ বা আনাজের কয়েকটি দোকান খোলা ছিল। বন্ধ ছিল ব্যাঙ্ক, জীবন বিমা নিগম। রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েন ধর্মঘটকারীরা। বেলায় বৃষ্টি একটু কমলে পিকেটিং-এ নামে বামপন্থী সংগঠনগুলি। যে কয়েকটি দোকান খোলা ছিল সেগুলি জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ধর্মঘটকারীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন এক টোটোচালক। তবে এর বাইরে বড় কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।
স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মঘট সফল করার জন্য সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানান সিপিএম-এর জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য। তবে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ছ’টি বাগানে অধিকাংশ শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছিলে। জেলা শাসকের দফতর-সহ অন্য সরকারি দফতরগুলিও খোলা ছিল। হাজিরাও স্বাভাবিক ছিল বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। তবে ছাত্র-ছাত্রী না আসায় স্কুলগুলি বন্ধ হয়ে যায়।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাসগুলি অন্যদিনের মত বিভিন্ন রুটে চলাচল করেছে। যদিও যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কম। অতিরিক্ত বাস চালানো হয়নি বলে জানিয়েছেন, নিগমের জলপাইগুড়ির ডিপো ইনচার্জ স্বপন সেন। কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানিয়েছেন, ধর্মঘট ঘিরে অশান্তির কোনও ঘটনা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy