Advertisement
০২ মে ২০২৪

ফের ফুলহারে জল বাড়ছে, বন্যার শঙ্কা

মালদহে ফুলহার নদীর জলস্তর বাড়ছেই। এরই পাশাপাশি রতুয়ার দেবীপুরে নদী বাঁধে ব্যাপক ভাঙন শুরু হওয়ায় পুজোর মুখে উদ্বিগ্ন রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা।

ভাঙছে পাড়। — নিজস্ব চিত্র

ভাঙছে পাড়। — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১১
Share: Save:

মালদহে ফুলহার নদীর জলস্তর বাড়ছেই। এরই পাশাপাশি রতুয়ার দেবীপুরে নদী বাঁধে ব্যাপক ভাঙন শুরু হওয়ায় পুজোর মুখে উদ্বিগ্ন রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। তবে বুধবার থেকেই জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হলে নদীর জলস্তর কমবে বলে আশা সেচ দফতরের। জেলা সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার সুমিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা ভাঙন রোধের কাজ শুরু করে দিয়েছি। আতঙ্কের কারণ নেই।’’

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকালে নদীর জলস্তর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.২১ মিটারে। যা বিপদসীমা থেকে মাত্র ২২ সেন্টিমিটার কম। গত ২৪ ঘন্টায় নদীর জলস্তর বেড়েছে ১১ সেন্টিমিটার। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে ফুলহারের জল বাড়ছে। আর জল বাড়ায় বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে বলে সেচ দফতর আশ্বস্ত করলেও উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা। দেবীপুর শ্মশানঘাটের কাছে যে এলাকাজুড়ে ভাঙন চলছে সেখানে তিন বছর আগে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মেরামতির কাজ হয়েছিল। এরই মধ্যে ফের বাঁধে ভাঙন শুরু হওয়ায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দাদের অনেকেই।

তাঁরা জানান, তিন বছর আগে বাঁধের ওই অংশে প্রথমে ফাটল দেখা দেয়। পরে তা ভেঙে পড়ায় সংরক্ষিত এলাকার জমি প্লাবিত হয়ে ফসল নষ্ট হয়েছিল। তখন জরুরি ভিত্তিতে কাজ করেও বাঁধ রক্ষা করা যায়নি। তারপর নতুন করে বাঁধের সংস্কার করা হয়। কিন্তু এ বার জল বাড়তেই যেভাবে ফের বোল্ডার সহ বাঁধের মাটি ধসে পড়তে শুরু করেছে তাতে চিন্তিত তাঁরা।

মাসখানেক আগেই ফুলহারের বন্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ার অসংরক্ষিত এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। ডুবে নষ্ট হয় কয়েক কোটি টাকার ফসল। এবার বাঁধ ভাঙলে সংরক্ষিত এলাকার জমির ফসলও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Flood Alert Erosion water level increasing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE