প্রতীকী ছবি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জো বাইডেনের শপথের পরেই ‘প্রতিবেশীদের উপর চিনের চোখরাঙানি’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল পেন্টাগন। এ বার লাদাখ পরিস্থিতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওয়াশিংটনের সহযোগীদের বিরুদ্ধে বেজিংয়ের আগ্রাসনের বিষয়টি ঠাঁই পেল বাইডেন সরকারের রিপোর্টে।
কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের সামরিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটিতে শুক্রবার পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় আমেরিকা তার সহযোগী দেশগুলির পাশে দাঁড়াবে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি কলিন কাহল রিপোর্টটি পেশ করেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পেন্টাগন বিষয়ক নীতি নির্ধারণের দায়িত্বেও রয়েছেন কলিন।
সেনেট কমিটিতে কলিন বলেন, ‘‘ভারত-চিন সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং চিনের আচরণ তাদের আগ্রাসী মনোভাবেরই প্রতিফলন। ততে আমারা আমাদের মিত্র এবং সহযোগীদের পাশেই।’’ পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রেক্ষিতে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা(এলএসি)-য় উত্তেজনা কমানোর সাম্প্রতিক উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন তিনি। কলিন বলেন, ‘‘আমরা গভীর ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’’
ভারতকে ‘প্রধান সামরিক সহযোগী’ হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন কলিন। বলেছেন, ‘‘প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও নিবিড় করা হবে।’’ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের সঙ্গে প্রযুক্তি বিনিময়ের নীতিতে আরও গতি আনার কথাও জানান তিনি। কলিনের স্পষ্ট মন্তব্য, ‘‘চিনের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য ভারতকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার এই সিদ্ধান্ত।’’ তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে সেনেটের সামরিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাক রিড বলেন, ‘‘চিনের সঙ্গে কৌশলগত লড়াই চালাতে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল অবলম্বন করা উচিত আমেরিকার।’’
প্রসঙ্গত, গত মাসে বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস লাদাখ পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত বিতর্কের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রক্রিয়াকে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোর চিনা কৌশল সম্পর্কে আমেরিকার উদ্বেগ রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy