প্রতীকী চিত্র
পর্দায় রমরমিয়ে চলছে ‘পরিণীতা’। টিআরপি তালিকায় এই ধারাবাহিকের অবস্থানই জানান দিচ্ছে দর্শকের মনেও বেশ ভালই পসার জমিয়ে ফেলেছে উদয় প্রতাপ সিংহ ও নবাগতা ঈশানী চট্টোপাধ্যায়ের জুটি। জনপ্রিয়তার সঙ্গে বেড়েছে দায়িত্বও। তাই পুজোর আগে ‘নো ছাড়’! জোরকদমে চলছে ধারাবাহিকের শ্যুটিং।
আনন্দবাজার ডট কমের তরফে উদয় প্রতাপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মজা করেই তিনি বলেন, “জীবনটা স্টুডিয়োর মধ্যেই সীমাবদ্ধ যেন। বাইরের জগতের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই নেই এই মুহুর্তে।” অভিনেতা জানান, পুজোর কেনাকাটার ক্ষেত্রেও একই ‘অচলাবস্থা’! তিনি বলেন, “আমরা সত্যিই সময় পাচ্ছি না। কেনাকাটার ক্ষেত্রেও অনলাইনই ভরসা। তাও আবার সব কিছু ‘অ্যাড টু কার্ট’ করে রাখা। কিছুই কিনে উঠতে পারিনি।”
যদিও তাতে বিশেষ আপত্তি নেই অভিনেতার। বরং এই ব্যস্ততাকে বেশ উপভোগ করছেন তিনি। উদয় প্রতাপ বলেন, “আমি নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করি। ব্যস্ত থাকাটাও আশীর্বাদস্বরূপ। সবাই চান পুজোর আগে কাজ করতে। বাড়িতে বসে থাকতে কার ভাল লাগে?” তবে পুজোর ক’টা দিন কিছুটা স্বস্তি। অভিনেতা বলেন, “আমি শেষ দু’বছর পুজোর সময়টা কলকাতাতেই আছি। এ বারেও ব্যতিক্রম হবে না। বাইরে থেকে আত্মীয়-স্বজন আসবেন। কাজেই গোটা পুজোটা কলকাতাতেই কাটাব।
আপাতত ‘পরিণীতা’তেই মন দিচ্ছেন নায়ক। গত সপ্তাহের নিরিখে টিআরপি তালিকার দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে এই ধারাবাহিক। দর্শকদের ভালবাসায় আপ্লুত উদয়-ও। তিনি বলেন, “অপ্রত্যাশিত ভাবে যে জিনিসটা ঘটে যায়, স্বাভাবিক ভাবেই সেটা ‘বিশেষ’ হয়ে ওঠে। ‘পরিণীতা’র ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমার মনে হয় এই কৃতিত্ব গোটা টিমের কাছেই যায়। সবার পরিশ্রমের ফল এটা।” ব্যস্ততা তো থাকবেই, তাঁর ফাঁকেই স্ত্রী অনামিকা চক্রবর্তীর সঙ্গে দিব্যি দাম্পত্য কাটছে অভিনেতার। উদয়ের কথায়, “সবাই খুশি থাকুক। ভাল থাকুক। জানি এই কথা বলা যতটা সহজ, আসলে ততটা নয়। তাও বলব আমার আশেপাশের মানুষজন যেন সুস্থ থাকে। দেবীর থেকে এটাই চাওয়া।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।