প্রতীকী চিত্র
পেশাগত জীবনের কাজ থেকে রেহাই নেই। উপরন্তু পুজোর আগে নিজের গৃহসজ্জার কাজ নিয়েও বেশ ব্যস্ততাতেই কাটছে অনুষা বিশ্বনাথনের সময়। আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বলেন, “পুজোর সময়ে অনেক অতিথিই তো আসবেন। তার আগে ভাগে যতটা কাজ এগিয়ে রাখা যায় আর কী! গত সোমবারই আমার মায়ের (মধুমন্তি মৈত্র) জন্মদিন ছিল। রান্নার দায়িত্ব ছিল আমার উপরেই। এ ছাড়া পুজোর আগে কিছু প্রস্তুতি তো থাকেই। সেই সব নিয়েই বেশ ব্যস্ত আছি এখন।”
এই ব্যস্ততার রেশ কি পুজোতেও থাকবে? নায়িকার কথায়, “অবশ্যই কিছু কাজ রয়েছে। এমনকী শহরের বাইরেও যেতে হতে পারে।”
প্রেম নিয়ে বরাবরই রাখঢাক করেননি নায়িকা। প্রেমিক আদিত্য সেনগুপ্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের চর্চা ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বজনবিদিত। পুজোতে এক সঙ্গে কতটা সময় কাটাবেন তাঁরা? নায়িকার কথায়, “আমাদের এক সঙ্গে একটা পুজো পরিক্রমা রয়েছে। এক সঙ্গে ঠাকুর দেখাও হয়ে যাবে সেই ফাঁকে।”
মজা করেই অনুষা বলেন, “বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও বেরোনো রয়েছে। ওরা তো আমার কাছ থেকেই ডেট চাইছে। অদ্ভুত না? সারা বছর আমি কাজের জন্য ডেট দিই, আর পুজোর সময়ে আমার বন্ধুদের ডেট দিতে হচ্ছে।”
পুজোতেও কি ব্যস্ততা কমবে? এখন তো অভিনেত্রী নতুন ভূমিকায়। তারকাদের মাঝেই বেড়ে ওঠা অনুষার। পরিচালক-নাট্য ব্যক্তিত্ব অশোক বিশ্বনাথন এবং অধ্যাপিকা-সঞ্চালিকা মধুমন্তি মৈত্রর কন্যা তিনি। অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনিও এখন নিচ্ছেন নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ। অঞ্জন দত্ত ও নীল দত্তের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শ্রুতিনাটকে তাক লাগাচ্ছেন মঞ্চে। তাও আবার জনপ্রিয় ‘প্রিয় বন্ধু’র সিক্যুয়েলে। অভিনেত্রী বলেন, “আমরা বড় হয়েছি ‘প্রিয় বন্ধু’র সঙ্গে। আমাদের বাবা-মায়ের প্রজন্মের কাছেও পরিচিত। তার সিক্যুয়েলে আমি রয়েছি। এটাই বড় পাওয়া। তা ছাড়া আমার মা বহু শ্রুতি নাটক করেছেন, সেখানে দাঁড়িয়ে এই অনুভূতিটা অন্য রকম। আর অঞ্জন দার সঙ্গে মঞ্চভাগ করার অভিজ্ঞতা তো দারুণ বটেই।”
কতটা শিখলেন? উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রীর জবাব, “মঞ্চের এক দিকে অঞ্জনদা, অন্য দিকে নীলদা (নীল দত্ত), আমি সেখানে নবাগত। ওঁদের নখের যোগ্য হয়ে উঠতে পারলেও নিজেকে ধন্য মনে করব।” অনুষা জানান, হাতে গোনা কয়েকটি শোতেই দর্শকদের ভালবাসা পেয়ে বেজায় আপ্লুত তিনি। অভিনেত্রী বলেন, “পরবর্তী শো-এর জন্য অপেক্ষা করতে পারছি না আর। অনেকেই জিজ্ঞেস করছেন তারিখ, কিন্তু এখনও চূড়ান্ত হয়নি কিছুই।” পুজোর সময়তেও কি শো-এর পরিকল্পনা রয়েছে? একটু হতাশ করেই তিনি বলেন, “না, সেই সময় তো অঞ্জনদা থাকবেন না শহরে। কিন্তু আমরা অনেক কিছু ভেবে রেখেছি। বাইরে গিয়েও শো করার ইচ্ছে রয়েছে।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।