Celebrity Puja Celebration

দাদা বেঙ্গালুরু, বাবা-মা শ্রীরামপুরে, কলকাতায় বসে ‘হোয়াট্‌সঅ্যাপ’-এ পুজোর পরিকল্পনা সারছেন পারিজাত!

‘মিত্তির বাড়ি’ শ্যুটিংপর্ব শেষ হলেও ব্যস্ততা থেকে রেহাই নেই পারিজাত চৌধুরীর। আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বলেন, “পুজো যত এগিয়ে আসছে, কাজের ব্যস্ততাও সমানতালে বাড়ছে।’’ তবে এই বছর পুজোর আনন্দটা দ্বিগুণ নায়িকার কাছে। কেন জানেন?

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৪
Share:

প্রতীকী চিত্র

সদ্যই ‘মিত্তির বাড়ি’কে বিদায় জানিয়েছেন। ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ের তুমুল চাপ না থাকলেও পুজোর মুখে ব্যস্ততা কি পিছু ছাড়ল পারিজাত চৌধুরীর? আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বলেন, “পুজো যত এগিয়ে আসছে, কাজের ব্যস্ততাও সমানতালে বাড়ছে। তবে সময়টা কিন্তু ভালই উপভোগ করছি। এ বারের আনন্দটা দ্বিগুণ কারণ পুজো আমি আমার গোটা পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছি রাজস্থান। পুজোর এই পাঁচটা দিনই তো একটু ছুটি পাই সকলে। বাবা, মা, দাদা সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত। নিজেদের মধ্যে কথা বলারই সময় নেই। এখন তো বাবা-মায়ের সঙ্গেই কথা বলার জন্য হোয়াট্‌সঅ্যাপে গ্রুপ বানাতে হয়েছে।”

Advertisement

জীবন কি তা হলে বদলেছে বলা চলে? পারিজাতের কথায়, “ছোটবেলার সময়টাকে খুব মনে পড়ে। এখন দাদা কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে, বাবা-মা শ্রীরামপুরে আর আমি কলকাতায় বসে ভাবছি জীবনটা একে বারেই অন্য রকম হয়ে গিয়েছে এখন। সবাই নিজের নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোর চেষ্টায়। আমি মন থেকে খুশি আমার দাদা বেঙ্গালুরুতে নিজের দক্ষতায় কাজ করছে। ও-ও একই ভাবে খুশি আমার কাজে। আর বাবা-মা তো আছেনই। মায়ের নিজের ব্যবসা রয়েছে। বাবার কলেজ, সবাই নিজের নিজের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট। ছোটবেলার কথা মনে পড়লেও এটা ভেবে আনন্দ পাই যে প্রত্যেকে নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছি। পুজো আমাদের পরিবারকে এক করে তোলে। আর এই জন্যেই এই ক’টা দিনের অপেক্ষা।”

কিন্তু পুজোর সময় নিজের শহর ছাড়ছেন? মন খারাপ রয়েছে? অভিনেত্রীর সহজ জবাব, “ভীষণ মনে পড়বে। মহালয়ার পর থেকেই রাস্তায় যা ভিড়! দেখে মনে হচ্ছে পুজো চলে এসেছে। এই ‘ভাইব’টাই উপভোগ করছি।”

Advertisement

ধারাবাহিকের ব্যস্ততা তো নেই, এখন কি একটু হলেও অবসর যাপন করার সুযোগ পাচ্ছেন নায়িকা? তিনি বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই। পুজোর আগেভাগে ধারাবাহিকের ব্যাংকিংয়ের চাপ থাকে। সেটা এই বছর নেই। প্রথমে ভাবতাম যাঁরা ধারাবাহিকে অভিনয় করেন, তাঁদের খুরে খুরে নমস্কার। এখন আমি নিজে সেই জুতোয় পা গলিয়ে বুঝতে পারলাম, প্রথম দুই মাসই যা একটু কষ্ট। কিন্তু তার পরে সবই সয়ে যাবে।” তবে এই ব্যস্ততা না থাকলেও যে মন খারাপ গ্রাস করে, তা অকপটেই স্বীকার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। পারিজাত বলেন, “এই যে টানা ২৪ ঘণ্টা শ্যুটিং। মাসে তেমন ছুটি নেই। কিন্তু এটা বন্ধ হয়ে গেলেও খুব মন খারাপ হয়ে যায়। তবে এটাও ঠিক যে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এই বিরতিটা প্রয়োজন।”

অবসর যাপনের ফাঁকে পুজোর প্রস্তুতি কতদূর এগোল? তিনি বলেন, “আমাদের তো সারা বছর কেনাকাটা চলে, তাই পুজোর মুখে সেই হিড়িকটা একটু হলেও কমে। তবে আমার কেনাকাটা যে একদমই কমে গিয়েছে, সেটা বললেও মিথ্যে কথা বলা হবে। আমি এবং আমার মা খুব পছন্দ করি কেনাকাটা। ঠিক করেছি রাজস্থানে গিয়েই জমিয়ে সেটা করব। আমাদের পরিবারটা তো খুব বড়। যে সদস্যের থেকে যত টাকা পেয়েছি। সব জমিয়ে রেখেছি সযত্নে।” রাজস্থানে বসেই এ বছর কী চাইবেন দেবীর থেকে? অভিনেত্রী বলেন, “মা সবাইকে ভাল রাখুক। সুস্থ রাখুক। যে ভাবে প্রতি বছর এসে সকলের মন ভরিয়ে দেন, এটা যেন বজায় থাকে। পুজো পুজো গন্ধটা হারিয়ে ফেলতে চাই না কোনও কিছুর বিনিময়ই।”

পর্দায় আবার কবে দেখা যাবে পারিজাতকে? উত্তরে কৌতূহল জিইয়ে রাখলেন নায়িকা। এক গাল হেসে বললেন, “খুব শীঘ্রই!”

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement