সংগৃহীত চিত্র।
প্রতি বছরের মতো এই বছরও অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই বসেছিল চাঁদের হাট।
কৌশানী এ দিন তাঁর বাড়ির পুজোয় বেগুনি রঙের একটি শাড়ি পরেছিলেন। সঙ্গে ছিল মুক্তোর সীতাহার, সহ অন্যান্য গয়না। হাতে ছিল মানতাসা। অভিনেত্রীর বাড়ির পুজোয় এসেছিলেন বনি সেনগুপ্ত, রাহুল মজুমদার, প্রীতি বিশ্বাস। পুজোর পর তাঁদের সকলে খুনসুটি করতে দেখা যায়।
কালীপুজো মানেই রাত জাগা, গভীর রাতে পুজো হওয়া। যদিও এই বিষয়ে অভিনেত্রীর মত, "আমরা রাত জাগা পাখি, আমরা রাত জেগে থাকি। আজকে কালীপুজো বলে রাত জাগা বিশেষ নয়, তবে হ্যাঁ, এনার্জিটা একটু বেশি।"
কালীপুজো মানেই বাজির রমরমা। এই বিশেষ দিনে কৌশানীকে বনি এবং রাহুল ‘দোদোমা এবং কালীপটকা’র সঙ্গে তুলনা করেন। প্রীতি বলেন নায়িকা নাকি ‘চকলেট বোম’! যদিও কৌশানী বনি এবং রাহুলের উদ্দেশ্যে বলেন তাঁরা নাকি 'সাপবাজি, ডিপ্লোমেটিক'। অভিনেত্রীর আরও সংযোজন, 'রাহুল কালীপটকাও। লোকের সামনে ফাটে।'
দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক বনি এবং কৌশানীর। এত দিন এক সঙ্গে পথ চলার পর প্রিয় মানুষটাকে নিয়ে কী বক্তব্য, গানের কথার মতো বনি কি সত্যিই ‘শান্ত ছেলে’? অভিনেত্রীর জবাব, ''দেখুন, সবারই কী হয় বলুন তো, এপারে দাঁড়িয়ে ওপারটাকে যথেষ্ট সুন্দর লাগে দেখতে, সবই ভাল লাগে। কিন্তু যারা এক সঙ্গে থাকে, সংসার করে তাঁরাই বোঝে আসল জ্বালা।" তবে কৌশানী যাই বলুন, রাহুলের মতে, ''বনি শান্ত।''
এ দিন পুজোর শেষে কৌশানীকে নিজের হাতে খাইয়ে দেন বনি। বাদ যাননি নায়িকাও।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।