প্রতীকী চিত্র।
বাংলা চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় ভূতের দাপাদাপি খুব বেশি না হলেও, খান কয়েক জম্পেশ ছবি যে আছে, সে কথা অস্বীকার করা যায় না। আর, ইদানীং ভূত নিয়ে কাজ করার প্রবণতা নির্মাতা ও পরিচালকদের মধ্যে কিছুটা হলেও বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে যাঁর নাম উল্লেখ না করলেই নয়, তিনি হলেন অভিনেতা-পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। যিনি ইতিমধ্যেই একাধিক ভৌতিক ছবি বাঙালি দর্শককে উপহার দিয়েছেন।
এ হেন শিল্পী মানুষটি নিজে কি ভূতে বিশ্বাস করেন? এ বিষয়ে খোলাখুলি নিজের মতামত জানিয়েছিলেন পরমব্রত। আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন - “আমি ভূতে বিশ্বাস করি। আমি ভূতে ভয় পাওয়াতে বিশ্বাস করি। ভূতে ভয় পাওয়া ব্যাপারটা ভাল লাগে। ভূতের ভয়ে রোমাঞ্চিত হতে ভাল লাগে।”
পরমব্রত ছোট থেকেই ভূতের গল্প-উপন্যাস পড়তে ভালবাসেন। তাঁর প্রিয় ভৌতিক রচয়িতাদের মধ্যে ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়-সহ অনেকেই রয়েছেন। আর, এ সব গল্প ও উপন্যাসের প্রভাবেই হয়তো ছোট থেকেই অলৌকিক বিষয় নিয়ে তাঁর মধ্যে অসীম আগ্রহ রয়েছে।
তবে একদা পরমব্রত নিজেই এমন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন, যা ভৌতিক কি না বলা মুশকিল, তবে নিঃসন্দেহে তা ছিল এক অস্বস্তিকর অনুভূতি! অভিনেতা-পরিচালক জানান, প্রথম দিকে তিনি যখন মুম্বই গিয়ে মাঝেমধ্যে থাকতে শুরু করেছিলেন, সেই সময়েই এক পরিচিতের কাছ থেকে দু-কামরার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। তাতে থাকার সময়েই তাঁর সেই অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়েছিল। যখনই ফ্ল্যাটে যেতেন মন খারাপ হত, শরীর খারাপ হত। মানসিক এবং শারীরিক ভাবে ভারাক্রান্ত লাগত। যদিও প্রাথমিক ভাবে সেগুলিকে তেমন পাত্তা দেননি তিনি।
পরবর্তীতে নাসির নামে পরমব্রতর এক সহযোগী এক রাতের জন্য সেই ফ্ল্যাটে একা ছিলেন। কথা ছিল, আরও একটা রাত তিনি একা ওই ফ্ল্যাটে কাটাবেন। কারণ, অভিনেতার ওই দুই রাত এক বন্ধুর বাড়িতে থাকার কথা ছিল।
কিন্তু, এক রাত থাকার পরেই নাসির পরমব্রতকে জানান, তাঁর পক্ষে আর ওই ফ্ল্য়াটে একা রাত কাটানো সম্ভব নয়! কারণ, প্রথম রাতেই তিনি সর্বক্ষণ এক অস্বস্তিকর ও রহস্যময় শব্দ শুনতে পেয়েছেন! তাঁর মনে হয়েছে, শোওয়ার ঘরের দরজার বাইরে কে যেন হেঁটে বেড়াচ্ছে! কেউ যেন কথা বলছে!
নাসিরের মুখে এ সব শোনার পর পরমব্রতর মনে হয়, তাঁরও তো ঠিক একই রকম অনুভূতি হয়েছিল। কিন্তু তখন তিনি বিষয়টিকে সে ভাবে আমল দিতে চাননি। এর পরে পরমব্রত খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, ওই ফ্ল্যাটে থাকতে আসা লোকজনের আগেও নাকি এই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে! এ সব জানার পরে আর কালক্ষেপ করেননি শিল্পী। পত্রপাঠ সেই ফ্ল্যাটটি ছেড়ে দেন তিনি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।