প্রতীকী চিত্র
কৌশানী মুখোপাধ্যায় মানেই সর্বদা হাসিখুশি ও প্রাণোচ্ছল অভিনেত্রী। তবে পর্দায় তাঁকেই তাণ্ডবরত মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন দর্শক। এই প্রথম বার মহালয়ার হাত ধরে দেবীর চরিত্রে ধরা দিতে চলেছেন কৌশানী। অভিনেত্রী জানান, চরিত্রের জন্য যেমনটা দরকার, সেই ভাবেই নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন তিনি।
তাঁর কথায়, “প্রথম সব কিছুই খুব বিশেষ হয়। মহালয়াতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতাটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।”
অভিনেত্রী নিজেও কিন্তু কম আধ্যাত্মিক নন। কৌশানী বলেন, “আমার বাড়িতে তো বারো মাসে তেরো পার্বণ। পুজো লেগেই থাকে বছরভর। এই শক্তিটাকে খুব মানি। বিশ্বাস করি যে কোনও বিপদে আমার ঠাকুরই আমাকে পথ দেখাবেন।” ‘মহালয়া’কে ঘিরে কথার ফাঁকে ওঠে ‘নারীশক্তি’র প্রসঙ্গও। যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আজও নাকি গায়ে কাঁটা দেয় অভিনেত্রীর। এমনকী নায়িকা জানান, মহালয়ার শ্যুটিংয়ের সময়েও একই অনুভূতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।
এ তো গেল মহালয়ার কথা। সামনেই কৌশানীর ছবিমুক্তি। পুজোর মরসুমেই বড় পর্দায় আসছে তাঁর ‘রক্তবীজ ২’। পুজোর ক’টা দিন কি সেই নিয়েই কাটবে? নায়িকা বলেন, “‘রক্তবীজ ২’ নিয়ে ব্যস্ততা তো থাকবেই। আমাদের ছবির প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে তার পাশাপাশি কিছুটা সময় নিজের ব্যক্তিগত জীবনের জন্যেও তুলে রাখব। তখন আমিও নিজের মতো খাব, ঘুরব, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করব। আমার কিন্তু পুজোর কেনাকাটা একদম শেষ!”
জনপ্রিয়তার পরেও প্যান্ডেলে ঘোরাঘুরি পছন্দ করেন কৌশানী? অভিনেত্রীর সহজ জবাব, “সবচেয়ে বড় তারকা তো মা দুর্গা। তাঁর সামনে কীসের জনপ্রিয়তা?”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।