সংগৃহিত চিত্র
প্রথম নজর কাড়েন ‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকের ‘সার্থক’ হিসেবে। যদিও বর্তমানে তিনি ‘কনে দেখা আলো’র গ্রামের সাদাসিধে ছেলে ‘সুদে’ব। সদ্য শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক নিয়ে দারুণ ব্যস্ত তিনি। সেই মৈনাক ঢোল তাঁর ব্যস্ত রুটিনের ফাঁকেই পুজো পরিকল্পনা নিয়ে কথা বললেন আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে।
এক দিকে নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিক, আরেক দিকে পুজো দরজায় কড়া নাড়ছে। এই ব্যস্ততার মাঝে কি পুজোয় কী করবেন, আর কী করবেন না সেটা ছকে উঠতে পারলেন মৈনাক? অভিনেতা বললেন, “পুজোর আগে এই নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে, ফলে দারুণ ব্যস্ততায় সময় কাটছে। এই সময় এপিসোড ব্যাংকিংয়ের একটা চাপ থাকেই, আর আমাদের ব্যাংকিং যেহেতু খুবই কম, সেই জন্য শ্যুটিংয়ের চাপটাও খুব বেশি। তার উপর এই ধারাবাহিকটি ৪৫ মিনিট ধরে সম্প্রচারিত হয়, ওটাও একটা কারণ। তবে যতই চাপ থাকুক না কেন, মজা করেই কাজটা করছি। আর পুজোর পরিকল্পনা বলতে, পঞ্চমী বা ষষ্ঠী পর্যন্ত শ্যুটিং চলবে। তার পর ঠাকুর দেখতে ভাল লাগে আমার, প্রতি বছরই দেখি। এই বছরও যাব। নিজের পছন্দ মতো কয়েকটা ঠাকুর দেখব, আপাতত এটা ভেবে রেখেছি। তার পর দেখি কতটা কী হয়।”
এই ব্যস্ততার মধ্যে তা হলে নিশ্চয় কেনাকাটা হয়নি? ‘সার্থক’ জানালেন একে বারেই তাই। তাঁর কথায়, “কেনাকাটা এখনও হয়নি। বলতে গেলে শুরুই হয়নি। করব, জলদিই শুরু করব।” শপিংয়ের ‘অ্যাড টু কার্ট’-এ কী কী রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শার্ট থেকে টি-শার্ট, জিন্স, পাঞ্জাবি সবই রয়েছে। এগুলিই তাঁর পছন্দের পোশাক।
এখন তিনি অভিনেতা। পরিচিত মুখ। নামডাক হয়েছে। এই সময় দাঁড়িয়ে ছোটবেলার পুজো বলতে কোন স্মৃতি আজও মনে ভেসে ওঠে? “ছোটবেলা পুজো কেটেছে আমার দাদুর আবাসনে। সেখানে প্রতি বছর পুজোর সময় যেতাম। ওখানে বড় করে মেলা হত। এখনও হয়, কিন্তু অত বড় করে হয় না। তো ওই মেলায় যেতাম, ঘুরতাম। ওই আনন্দটা ছিল। সেই জিনিসটা মিস্ করি”, জানালেন মৈনাক।
আর পুজোর প্রেম বা অঞ্জলির ফাঁকে একটু ফুল ছোড়াছুড়ি বা চোখাচোখি? নিরাশ করে অভিনেতা জানালেন সেটাও হয়নি! তাঁর সাফ কথা, “এমন কিছু কখনই হয়নি। ফুলটা মায়ের পায়ের কাছেই ছুঁড়তে চেয়েছি, ওখানেই ছুঁড়েছি, অন্য দিকে নয়।” বলেই হেসে ফেলেন তিনি।
সদ্য নতুন কাজ শুরু হয়েছে, তাই এ বার দেবীর কাছে তাঁর একটাই প্রার্থনা, “এখন যেমন মানুষের ভালবাসা আশীর্বাদ পাচ্ছি সে রকমই যেন পাই। আগামী দিনে যাতে আরও ভাল-ভাল কাজ আমি করতে পারি। আগামীটা ভাল হোক এটাই চাই।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।