সংগৃহীত চিত্র।
ভূতের দর্শন পেয়েছিলেন সাহিত্যিক সমরেশ বসুও! তাও কিনা বেড়াতে গিয়ে! কোথায় তাঁর সঙ্গে ঘটেছিল এমন হাড়হিম করা ঘটনা? আর ঘটেছিলই বা কী?
১৯৬২ সালে সোলো ট্রিপে দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন সাহিত্যিক সমরেশ বসু। সেখানে এক পরিচিত হোটেলের ৩ নম্বর ঘরে উঠেছিলেন তিনি। সেটি একটি ডাবল বেড রুম ছিল। অত বড় ঘরে তিনি একাই থাকতেন।
সারা দিন যেমন তেমন কাটলেও রোজ রাতে পাশের বিছানায় কারও এক জনের উপস্থিতি টের পেতে থাকেন সমরেশ বসু। টানা ছয় দিন ওই ঘরে এই পরিস্থিতির মধ্যেই কাটান লেখক। কেবল যে পাশের বিছানায় তিনি কারও উপস্থিতি পেতেন সেটাই নয়, সেটা নড়াচড়াও করত রীতিমত।
অবশেষে ঘরে যে অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটছে সেটার পূর্ণবিবরণ তিনি দেন হোটেলের মালিককে। লেখকের এই কথা শুনে আরও বিস্ফোরক এবং ভয়ংকর এক কথা বলেন হোটেল মালিক।
কী ঘটেছিল আসলে ওই ঘরে? হোটেল মালিকের কথা থেকে সমরেশ বসু জানতে পারেন তাঁরই এক বন্ধু স্ত্রীকে নিয়ে কিছু দিন আগে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন। তাঁরাও এই একই হোটেলের একই ঘরে অর্থাৎ যে ঘরে সমরেশ বসুও ছিলেন সেই ঘরে উঠেছিলেন। আর এই ঘরেই লেখকের বন্ধু আত্মহত্যা করেছিলেন। এ সব শুনে সেই ঘরে আর একা থাকার সাহস দেখাননি সমরেশ বসু। সেই দিনের পর থেকে ওই হোটেলের এক কর্মচারী লেখকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। তিনি মেঝেতে শুতেন, আর লেখক খাটে। তবে এর পর আর অন্য 'কারও' উপস্থিতি নাকি লেখক টের পাননি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।