‘ওহে রমণী, এই বছর দীপাবলির সাজের রং কী?’- প্রশ্ন ছুড়লে উত্তর যা আসবে, তাতে মোটামুটি হালকা রঙেরই রাজত্ব বেশি। আজকের প্রজন্মের ফ্যাশন সচেতনরা তাঁদের পোশাক বাছার আগে পরখ করে নেন দেহের গঠন, থেকে শুরু করে গাত্রবর্ণ- সবটাই।
পরিমিত সাজেই অপরূপা- যেন এটাই মূলমন্ত্র। সামনেই তো দীপাবলি। শাড়িই হোক ‘শো স্টপার’। সাজের বাহারে থাকুক না একটু নতুনত্ব। আলোর উৎসবেও নজর থাকবে আপনার দিকেই রইল টিপ্স।
দীপাবলির সকালে ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা থাকলে হালকা আকাশি অথবা সি গ্রিন রঙের অর্গাঞ্জাই এনে দিতে পারে একটি স্নিগ্ধ বেশ। সঙ্গে একই রঙের অথবা সাদার উপর স্লিভলেস ব্লাউজ় মন্দ লাগবে না।
সঙ্গে সাজ হবে একদম পরিমিত। রূপটানও নয় একদম চড়া। মডেল মৌলি বিশ্বাসের মতো সাজতে পারেন এমনই ছিমছাম অলঙ্কারে। সাদা স্টোনের পাতলা একটি চেন এবং সামঞ্জস্য আনতে এক হাতে একই স্টোনের কোনও হালকা চুড়ি। কানের দুলের আকারও হবে একদম ছোট।
এর পরের লুকটি কিন্তু বেশ আকর্ষণীয়। আজকের যুগে সাজের বাহারে বেশ ভালই পসার জমিয়েছে ডিপ নেক ব্লাউজ় অথবা অফ শ্লোল্ডার ব্লাউজ়।
দীপাবলির দিন কোনও অনুষ্ঠানে ডাক পড়ুক অথবা সান্ধ্য পার্টির নিমন্ত্রণ, এই অফ শোল্ডার ব্লাউজ়ের সঙ্গে লালের যুগলবন্দি কিন্তু মন্দ হবে না।
সঙ্গে ছবির মতোই খানিক অভিনব ভাবে মুক্তর মালা গলিয়ে নিতে পারেন গলায়। দুই কানেও শোভা পাক মুক্তো। সঙ্গে সাজে সামঞ্জস্য আনতে হাতে লাল ও সাদা চুড়ি। ব্যস, সাজ সম্পূর্ণ।
এই বারের সাজটি খুব একটি ছিমছাম গোছের না হলেও আভিজাত্যপূর্ণ বলা চলে। লাল বেনারসি অথবা এমনই কোনও ভারী শাড়ির সঙ্গে বড় দুল এবং গলায় বড় নেকপিস্ বেশ মানানসই।
চুল সম্পূর্ণ খোলা রাখার পরিবর্তে হালকা হাত খোঁপা অথবা মেসি বান হিসেবে বেঁধে রাখলে লুক হবে আরও পরিষ্কার।
এই সাজটি বেশ জমকালো। লাল অথবা মেরুন বেনারসির সঙ্গে গাঢ় সবুজের মেলবন্ধন বরাবরই প্রিয় সকলের। সেই সঙ্গে যদি থাকে সামান্য সোনালি কাজের ছোঁয়া- তা হলেই সাজে অন্য মাত্রা…
পোশাকের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে অলঙ্কারের বাহার এ ক্ষেত্রে একটু কম রাখাই ভাল। গলা সম্পূর্ণ খালি রেখে কানে মানানসই ঝোলা দুল বিশ্বস্ত সঙ্গী হতে পারে।
সবুজের সঙ্গে পিচ রঙও দারুণ মানায়। এ ক্ষেত্রেও সাজের নিয়ম এক। নকশায় মোড়া শাড়ির সঙ্গে এক রঙা সবুজ ব্লাউজ় গলানোটাই শ্রেয়। আগের বারের মতোই সাজ হবে পরিমিত।
দুই কানে ব্লাউজ়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে সবুজ দুল অথবা শাড়ির রঙে দুলও হবে মানানসই। হাতে একটি সাদা স্টোনের বালা অথবা অন্য হাতে বড় আংটিও মন্দ লাগবে না।
রাতের ঘোরাঘুরি হোক কোনও অনুষ্ঠানের জন্য এই লুকটি একে বারে উপযুক্ত। পাড়ে নকশা এবং জরির কাজের সঙ্গে তুঁতে রঙা শাড়ি বরাবরই মোহময়ী করে তোলে সকলকে।
সেই সঙ্গে এক রঙের ব্লাউজ় হলেও ক্ষতি নেই। সাজ হবে নজরকাড়া। এ ক্ষেত্রে গলায় জুড়ে থাকুক সোনালি রঙের হার অথবা নেকলেস্। কানে মানানসই দুল এবং হাতে একটি সোনালি রঙের চুড়ি ও বড় আংটিতেই হবে সাজ সম্পূর্ণ।
কেশসজ্জা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামানোর দরকার নেই। টেনে একটি খোঁপা-ই যথেষ্ট। মডেল: মৌলি বিশ্বাস, রূপটান ও কেশসজ্জা: দীপু, স্টাইলিস্ট: সুব্রত রায় চিত্রগ্রাহক: বিশ্বরূপ মণ্ডল (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)