ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন ডে’র ভালবাসায়: ফ্যাশনের দুনিয়া মানেই শুধু জমকালো জামাকাপড় নয়, তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে গল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য। সেই বুনোটকেই সামনে আনলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
‘বিশ্ব ফ্যাশন ডে’-তে এক নতুন মাত্রা দিলেন তিনি—চার রাজ্য, চার রূপ, আর একটিই মঞ্চে তার মিলন ঘটালেন।
স্বস্তিকা, তাঁর সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখলেন, ‘মোহময় রেশ, অপ্সরার বেশ, সাজে সুরে রূপে ধরা মারাঠা প্রদেশ…’। সঙ্গে ছবি, যেখানে শাড়ির গরিমা, গয়নার ছোঁয়া আর মারাঠি আভিজাত্যের মিশেলে যেন ধরা দিয়েছে আলাদা সৌন্দর্য।
ফ্যাশন মানেই শুধু র্যাম্পের হাঁটা নয়, পোশাকের প্রতিটি ভাঁজে লুকিয়ে থাকে ইতিহাস, প্রতিটি রঙে জড়িয়ে থাকে দেশের মানুষগুলির গল্প।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ে তুলে ধরবেন চার রাজ্যের চার রূপ— যেন এক রানওয়েতে ফুটে উঠেছে গোটা ভারত। মারাঠা প্রদেশ থেকে শুরু করেছেন তিনি। বাকি তিন রাজ্যের সাজের লুক এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
নউয়ারি শাড়ির অপ্সরা সাজ, সঙ্গে নৌকাঠা নাকছাবির ঐতিহ্য। মাথায় টিকলি, গলায় হার, হাতে চুড়ি—এই সাজে লুকিয়ে আছে শক্তি আর সৌন্দর্যের সমান ছাপ।
অনুরাগীরা আছেন বাকি তিনটি লুকের অপেক্ষায়। যেখানে প্রতিটি রং, টেক্সচার আর অ্যাক্সেসরিজ় তুলে ধরেছে চলেছে ভারতীয় ফ্যাশনের বৈচিত্র্য।
ক্যাপশনের লাইনেই ধরা দিয়েছে, ‘৪ স্টেটস। ৪ লুকস। ১ রানওয়ে—ইন্ডিয়া।’ এই চার রূপে মিশে গেছে দেশের চার কোণের গল্প, যেখানে ফ্যাশন শুধু পোশাক নয়, সংস্কৃতির বাহকও বটে।
অনুরাগীদের মতে , তাঁর এই লুক দেখে মনে হচ্ছে যেন সৌন্দর্যের এক অপ্সরা নেমে এসেছেন মর্ত্যে।
ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন ডে-তে এমন একটি ব্যতিক্রমী ভাবনা তুলে ধরলেন, যা কেবল গ্ল্যামার নয়, দেশের শিল্প আর ঐতিহ্যের প্রতিও শ্রদ্ধা জানায়। ফ্যাশন যে কেবল আধুনিক বা বিদেশি ট্রেন্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং নিজেদের শেকড়ের মধ্যে যে আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে, স্বস্তিকা যেন সেটাই বুঝিয়ে দিলেন। (ফটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন দেবর্ষি সরকার। স্টাইলিং করেছেন দ্য গ্রুমিং কোম্পানি এবং অজোপা মুখোপাধ্যায়। হেয়ার অ্যান্ড মেকআপে ছিলেন নবীন। ব্লাউজের ডিজাইন দিয়েছেন পরমা। সহযোগিতায় ছিলেন কোনিল সরকার। গয়নায় সাজিয়েছেন ঝুলন দে। আর সম্পূর্ণ শুটের আবহ ফুটে উঠেছে পিকচার পি স্টুডিও-র লেন্সে।) এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।