১। বাঙালির যে কোনও উৎসবই মিষ্টি ছাড়া অসম্পূর্ণ। সামনেই বাঙালিদের অন্যতম উৎসব দুর্গাপুজো। এই মরসুমে মিষ্টির দোকানে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ভিড়ের সঙ্গে বাড়ছে দামও।
২। কিন্তু মিষ্টির লোভনীয় স্বাদ যদি পেয়ে যান তুলনায় কম দামেই, তা হলে কেমন হয়? রইল জনপ্রিয় কিছু মিষ্টান্ন ভান্ডারের তালিকা।
৩। বিষ্ণু ভোগ: মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকার মধ্যে ভাল মিষ্টির সন্ধান পেতে চাইলে ঢুঁ মেরে আসতেই পারেন এই দোকানে। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে বিধান সরণি ধরে কিছুটা হাঁটলেই দেখতে পাবেন ছোট এই মিষ্টির দোকানটি।
৪। শক্তিগড় আদি ল্যাংচা ভবন: মিষ্টির কথা উঠছে আর শক্তিগড়ের ল্যাংচার প্রসঙ্গ উঠবে না, তা কী ভাবে হয়। তুলনামূলক কম দামে উন্নত মানের ল্যাংচার স্বাদ চেখে দেখতে চাইলে এক বার ঘুরেই আসুন এখানে।
৫। ল্যাংচা বাজার: কলকাতাবাসীর কাছে শক্তিগড় যদিও অনেকটাই দূরের গন্তব্য। তবে এই কারণে এই স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হবে না। শক্তিগড়ের ল্যাংচা বাজারের শাখা রয়েছে কলকাতাতেই। এয়ারপোর্ট ১ নং গেটের কাছেই খুলে গিয়েছে এই দোকান। ল্যাংচা ছাড়াও রয়েছে রকমারি মিষ্টি।
৬। নিউ বাসন্তী সুইটস্: দমদম নাগেরবাজার অঞ্চলের একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকান। যশোর রোডের উপরে এই দোকান আপনাকে নিরাশ করবে না।
৭। চন্দননগরের সুর্যকুমার মোদক: মিষ্টিপ্রিয় চন্দননগরবাসী অথচ এই দোকানের নাম জানেন না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। চন্দননগর মানেই সুর্যকুমার মোদকের বিখ্যাত জলভরা সন্দেশ।
৮। নিউ ভারত মিষ্টান্ন ভান্ডার: রাসবিহারী থেকে লেক রোড ধরে চারুচন্দ্র কলেজের দিকে যাওয়ার পথেই পেয়ে যাবেন এই দোকানের সন্ধান। ফুটপাত ধরে এগোলেই দেখতে পেয়ে যাবেন। দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে অন্যতম সেরা মিষ্টান্ন ভান্ডার যেখানে অতি কমদামেই তৃপ্ত হতে পারবেন।
৯। কে সি মাইতি: দক্ষিণ কলকাতার ট্র্যাঙ্গুলার পার্কের ঠিক বিপরীতেই রয়েছে এই মিষ্টির দোকান। কখনও ঘুরতে গেলে এই দোকানের শিঙাড়া খেয়ে আসতে ভুলবেন না।
১০। গণেশ: রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের উপরেই রয়েছে এই দোকান। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।