দুর্গাপুজো মানেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। এই উৎসবে বাঙালি বাড়িতে পোলাও একটি অপরিহার্য পদ। তবে এ বার শারদীয় ভূরিভোজে সাধারণ পোলাওয়ের বদলে বরং তৈরি করুন সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের দুধ পোলাও। রইল তার সহজ এবং সবিস্তার রেসিপি।
উপকরণ: দুধ পোলাও রান্না করতে যে যে সামগ্রী প্রয়োজন হবে, সেগুলি হল - বাসমতি চাল: ২ কাপ, দুধ: ৩ কাপ, জল: ১ কাপ, ঘি: ৩ টেবিল চামচ, কাজু ও কিশমিশ: পরিমাণ মতো, তেজপাতা: ২-৩টি, ছোট এলাচ: ৪-৫টি, দারচিনি: ২-৩টি, লবঙ্গ: ৪-৫টি, চিনি: ২-৩ টেবিল চামচ, নুন: স্বাদ মতো, গোলাপ জল: ১ চা চামচ।
চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন: প্রথমে ২ কাপ বাসমতি চাল ভাল করে ধুয়ে নিন। এ বার সেই চাল আধ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে চাল ঝরঝরে হবে এবং রান্নার পরে ভেঙে যাবে না।
মশলা ভাজুন: একটি বড় পাত্রে ৩ টেবিল চামচ ঘি গরম করুন। ঘি গরম হলে তাতে তেজপাতা, ছোট এলাচ, দারচিনি ও লবঙ্গ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। মশলা থেকে সুন্দর গন্ধ বেরোতে শুরু করলে কাজু ও কিশমিশ দিয়ে দিন এবং সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
চাল ভাজুন: এ বার পাত্রে ভিজিয়ে রাখা চালের জল ঝরিয়ে দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ২-৩ মিনিট ধরে চাল ভাজতে থাকুন। চাল ভাজার সময়ে এতে সামান্য নুন ও চিনি যোগ করতে পারেন। চালের রং হালকা পরিবর্তন হলে বুঝবেন ভাজা হয়ে গিয়েছে।
দুধ ও জল যোগ করুন: এ বার এতে ৩ কাপ দুধ এবং ১ কাপ জল যোগ করুন। দুধ ও জলের পরিমাণ সঠিক রাখা জরুরি, যাতে পোলাও অতিরিক্ত নরম বা শক্ত না হয়। দুধ ঢালার পরে আঁচ বাড়িয়ে দিন।
ফোটার জন্য অপেক্ষা করুন: দুধ ও জলের মিশ্রণটি ফুটে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ফুটে উঠলে আঁচ একদম কমিয়ে দিন। এ বার পাত্রটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
১০ মিনিট রান্না করুন: ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১৫-২০ মিনিট ধরে পোলাও রান্না হতে দিন। এই সময়ে মাঝে মাঝে ঢাকনা সরিয়ে দেখে নিতে পারেন, তবে বারবার নাড়াচাড়া করবেন না। এতে চাল ভেঙে যেতে পারে।
গোলাপ জল ও ঘি দিন: চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং জল শুকিয়ে এলে ঢাকনা খুলুন। এ বার এতে ১ চামচ গোলাপ জল এবং ১ চামচ ঘি দিয়ে দিন। এটি পোলাওয়ের স্বাদ এবং সুগন্ধ বাড়িয়ে দেবে। হালকা হাতে পোলাও নেড়েচেড়ে মিশিয়ে দিন।
পরিবেশন করুন: সব কিছু ভাল ভাবে মিশে গেলে গ্যাস বন্ধ করে আরও ৫ মিনিট ঢাকনা দিয়ে রাখুন। এর পরে গরম গরম দুধ পোলাও পরিবেশন করুন। এই পোলাও চিকেন কষা, মাটন কারি বা পনিরের কোনও পদের সঙ্গে পরিবেশন করলে তার স্বাদ দ্বিগুণ হবে। (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।