আর মাত্র কয়েকটি দিনের অপেক্ষা। কালীপুজোর পর পরই ভাই-বোনের সম্পর্ককে উদ্যাপন করতে আসছে ভাইফোঁটা। এই বিশেষ দিনে ভাইয়ের মঙ্গলকামনা, উপহার দেওয়া নেওয়ার পাশাপাশি, নিজে রেঁধে চমকে দিন তাঁকে।
আর সেই বিশেষ মেনুতে থাকুক সবুজ পাবদা। নাম তো বটেই স্বাদেও অন্য রকম।
সবুজ পাবদা বানাতে যেমন কম সময় লাগে তেমনই কম উপকরণে হয়ে যায় এই রান্না।
সবুজ পাবদা বানাতে লাগবে পাবদা মাছ, নুন, হলুদ গুঁড়ো, সর্ষের তেল, পোস্ত বাটা, সর্ষে বাটা, দই, ধনে গুঁড়ো, চিনি, ধনেপাতা, কাঁচা লঙ্কা, জিরে, টক দই, রসুন, আদা।
মাছের গায়ে নুন, হলুদ এবং সর্ষের তেল ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে।
মাছগুলো ম্যারিনেট করে ঢাকা দিয়ে রেখে দু’টো মিশ্রণ বানিয়ে নিন।
মিক্সিতে বেশ অনেকটা ধনেপাতা, ৪-৫ টা কাঁচা লঙ্কা, ৪-৫ কোয়া রসুন, এক টুকরো আদা এবং সামান্য জল দিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন।
আরেকটি বাটিতে ১০০ গ্রাম দইয়ের সঙ্গে ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, এক চামচ পোস্ত বাটা, এক চামচ সর্ষে বাটা, আর এক চিমটে নুন দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে রাখুন।
এর পর ওভেনে একটি কড়াই বসান। তাতে সর্ষের তেল দিন।
তেল গরম হলে ছেড়ে দিন মাছগুলো। হালকা করে ভেজে তুলে নিন।
এ বার সেই কড়াইয়ে আরও একটু তেল যোগ করে তাতে কালো জিরে এবং একটা কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিন। হালকা নেড়ে নিন।
এ বার কড়াইয়ে দিয়ে দিন দই, পোস্ত, সর্ষের মিশ্রণ। ভাল করে এ বার কষিয়ে নিন।
৩-৪ মিনিট কষানোর পর যোগ করুন ধনেপাতা এবং লঙ্কার মিশ্রণ। এটাও ভাল করে কষিয়ে নিন।
এতে দিয়ে দিন স্বাদ মতো নুন এবং সামান্য চিনি। দিয়ে দিন সামান্য গরম জল।
এ বার যোগ করুন আধখানা লেবুর রস। দিয়ে দিন ২-৩ টি গোটা কাঁচা লঙ্কা। গোটাটা ভাল করে মিশিয়ে নিন।
ঝোল ফুটে উঠলে তাতে মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে ৩-৪ মিনিট রাখুন।
তার পর ধনে পাতা ছড়িয়ে গ্যাস নিভিয়ে ঢাকা দিয়ে কিছু ক্ষণ রাখুন। ভাইফোঁটার দুপুরে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই পদ।
চাইলে দই পোস্ত, সর্ষের এই মিশ্রণ এড়িয়ে কেবল ধনেপাতা এবং লঙ্কার মিশ্রণ দিয়েও এই রান্না বানাতে পারেন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।