প্রতীকী চিত্র
পুজো মানেই আলো, আড্ডা, ঠাকুর দেখা আর সেই সঙ্গে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া। এক ফাঁকে গরম গরম মোমো না খেলে যেন উৎসবের রংই ফিকে লাগে। রাস্তার ধারে তৈরি হওয়া মোমো তার মধ্যেই আলাদা স্বাদ আনে—পকেটে চাপ নেই, অথচ স্বাদে ভরপুর। কে কোথায় গেলে কী পাবেন—সে খবর থাকলে ঠাকুর দেখার ফাঁকেই পেটপুজোর আয়োজন সেরে নেওয়া যায়।
ইন্তেখাব আলমস্ মোমো, এক্সাইড মোড়: রবীন্দ্র সদন মেট্রোর কাছের এই স্টল কলেজ পড়ুয়াদের আড্ডার আদর্শ জায়গা। বছরের পর বছর ধরে ঝাল চাটনির সঙ্গে চিকেন মোমোর জন্য এ জায়গার খ্যাতি। পুজোর রাতেও ভিড় লেগেই থাকে।
দীপঙ্করদার মোমো, শ্যামবাজার পাঁচমাথা: মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রিয় জায়গা। পকেট-সই দাম আর ভরপেট খাবারের জন্যই নামডাক। পুজোর ভিড়েও এ স্টলে থামতেই হয়।
ফিরোজ মোমো, পার্ক স্ট্রিট মেট্রো গেটের কাছে: ১৫ বছরের পুরনো দোকান। এখানকার ‘হুশহাশ’ ঝাল চাটনি নিয়ে বহু গল্প আছে। ঠাকুর দেখে ফেরার পথে পেটপুজোর সেরা জায়গা।
থাপাস্ স্টল, চৌরঙ্গী মোড়: নেপালি শঙ্কর থাপার হাতে তৈরি মোমো এখানে পাওয়া যায়। বিশেষ করে চিলি-গার্লিক সস্-এর টানে উৎসবের ভিড়ে বহু মানুষ দাঁড়িয়েই খান।
কার্তিকদার মোমো, ডালহৌসি: আরবিআই-এর পাশেই ভরপেট চিকেন মোমো, চিলি চিকেন, ফ্রায়েড রাইস। ব্যাঙ্ক কর্মীদের কাছে দুপুরের সেরা ভরসা। পুজোর সময় অফিস পাড়া হলেও এখানে ভিড় লেগেই থাকে।
বাবুলাল মোমো, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড, শ্যামবাজার: কলকাতার সেরা ভেটকি মাছের মোমোর নাম এলেই প্রথমেই ওঠে বাবুলাল মোমোর নাম। চিকেন চিজ মোমো কিংবা ফ্রায়েড চিজ কর্ন—সবই এ স্টলের হিট।
ডেনজঙ কিচেন, ফিল্মপাড়া: বাঙালির মোমো-প্রেমের প্রথম যুগের সাক্ষী। পুজোয় বাইরে বেরোলেই এ জায়গা এড়িয়ে যাওয়া কঠিন।
রিঙ্কি’স মোমো, গড়িয়া: নিরিবিলি গলি থেকে শুরু হলেও আজ বহু মানুষের প্রিয় জায়গা। চিকেন ফ্রায়েড মোমো এখানকার বিশেষত্ব।
ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের কাছে ক্র্যাব মোমো: কলকাতায় এমন স্বাদ বিরল। পুজোর সময় লম্বা লাইন দেখে বোঝা যায় চাহিদা কতটা।
সাউথ সিটি মল ও আশপাশ: মল ঘুরে বেরোনোর ফাঁকেই মোমো স্টলে দাঁড়ানোর ভিড় উপচে পড়ে। বিশেষ করে ‘সুইস্যাম’-এর মোমো খ্যাত।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।