প্রতীকী চিত্র
ষষ্ঠী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত পুজোর ক’দিন দেদার হুল্লোড়, অনিয়ম, রাতজাগা আর অঢেল খাওয়াদাওয়ার পরে শরীর এ বার জানান দিচ্ছে বিশ্রাম প্রয়োজন। তবে আর মাত্র এক দিন পরেই নতুন সপ্তাহ শুরু। ফিরতে হবে কাজের রুটিনে। তাই উৎসবের আনন্দ বজায় রাখতে কিছু সহজ ঘরোয়া টিপস মেনে চললেই শরীর থাকবে ঝরঝরে আর মন থাকবে ফুরফুরে। এর মধ্যে কী ভাবে শরীরকে সুস্থ রাখবেন? পুজোর পর শরীর ও মন তরতাজা করতে কিছু জিনিস মেনে চলা জরুরি। জেনে নিন কিছু সুলুক সন্ধান।
হালকা কিছু খাবার: উৎসবের দিনগুলোয় চুটিয়ে পেটপুজো হয়েছে। রেস্তরাঁর তেল-মশলা যুক্ত খাবার বা রাস্তার স্টলে রোল-চাউমিন, সবই খেয়েছেন আশ মিটিয়ে। এই অনিয়মের চক্করে পেটের সমস্যা দেখা দিতেই পারে। তাই এখন কয়েক দিন বাইরের তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই উচিত। বাড়িতে তৈরি সাধারণ, হালকা মশলার খাবার খান। না হলে পেটের সম্যসা বাড়বে।
শরীর চর্চা: পুজোর কয়েক দিন সেই ভাবে শরীর চর্চা করা হয়ে ওঠে না। যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, পুজোর পরেই তা ফের শুরু করে দিন। জিমে যাওয়া বা যোগাসন, বাড়িতে ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ বা মেডিটেশন- শরীর সুস্থ রাখতে এগুলোর যে কোনও একটি আপনাকে মেনে চলতে হবে। তবে মনে রাখবেন, কিছু দিন আপনি শরীরচর্চা থেকে বিরত ছিলেন। তাই প্রথমেই খুব বেশি শরীরচর্চা না করে, ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।
পর্যাপ্ত ঘুম: পুজোর সময়ে অনিয়ম হবেই। রাত জাগা, খাওয়াদাওয়া, ভাজাভুজি-মিষ্টি, কম ঘুম, ক্লান্তি। এগুলোর প্রভাব অনেক সময়ে পুজোর পরে জানান দেয়। এতে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় শরীরের। ঘুমের বারোটা বাজে। তাই পুজোর পরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দরকার সকলেরই। অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোলে শরীর সুস্থ হবে। ঘুমের অভাবে চোখের নীচে কালি, মাথা ব্যথা, পেটের সমস্যার মতো বিষয় দেখা দিতে পারে।
বডি ডিটক্স: ডিটক্স ওয়াটার খাওয়া শুরু করুন। লেবু, শসা, পুদিনা মিশিয়ে জল খান। এতে শরীরের টক্সিন বেরিয়ে যাবে। গরমে ঘোরাঘুরিতে ঘাম বা অনেক হাঁটাহাঁটির পরিশ্রমে অনেকেরই শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া উচিত।
শারীরিক বিশ্রাম: পুজোর পরে এক দিন হলেও সম্পূর্ণ রেস্ট নিলে শরীর নতুন করে উদ্যম ফিরে পাবে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।