পুজোয় আরও সুন্দর, জেল্লাদার হয়ে উঠতে কত কিছুই না করে মানুষ। ফেসিয়াল থেকে থ্রেডিং, ওয়াক্সিং, চুলের ট্রিটমেন্ট, চুলে রং করানো, ইত্যাদি। কিন্তু পুজোর ঠিক মুখে করানো হেয়ার কালার সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফিকে হয়ে যাচ্ছে বা গিয়েছে? কেন এমনটা হয় জানেন? কী করলেই বা দীর্ঘস্থায়ী হবে চুলের বাহারি রং?
রং করানোর পর চুলের সঠিক যত্ন না নিলে রং তো ফিকে হবেই! হেয়ার কালার টিকিয়ে রাখতে কী করবেন জেনে নিন।
অনেকেরই অভ্যাস থাকে রোজ রোজ শ্যাম্পু করার বা চুল ধোয়ার। এটি সঠিক পদ্ধতি নয়। ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে রাসায়নিক ডাই ব্যবহার করে চুলের যে রং করিয়েছেন সেটা নষ্ট হতে পারে যেমন ঘন ঘন জামাকাপড় কাচলে তার রং ফিকে হয়ে যায়।
খেয়াল করুন বা যাচাই করে দেখুন যে জলে ক্লোরিন আছে কিনা। থাকলে সেই পরিমাণ বেশি কিনা। ক্লোরিন চুলের জন্য ভীষণই ক্ষতিকর।
নোনা জলে চুল ধুলে তার রং যেমন ফিকে হয় দ্রুত, তেমনই চুলের ক্ষতি হয়।
অনেকেই চুল ধোয়ার জন্য গরম বা হালকা গরম জল ব্যবহার করে থাকেন। এটি করা উচিত নয়। ঠান্ডা জল ব্যবহার করা উচিত চুলের রংকে দীর্ঘস্থায়ী করতে।
রাসায়নিক রং দিয়ে চুল রং করালে এমনি তা রুক্ষ হয়। চুলের জেল্লা এবং রং দুই-ই ধরে রাখতে চাইলে ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।
সপ্তাহে অন্তত এক বার করে এই ধরনের মাস্ক ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকে।
ঘন ঘন উত্তাপ ব্যবহার করে হেয়ার স্টাইলিং বন্ধ করুন।
অনেকেই চুল স্টাইল করার জন্য কার্লার, স্ট্রেটনার, ব্লো ড্রায়ার, ইত্যাদি ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে আখেরে ক্ষতিই হয় চুলের। নষ্ট হয় প্রোটিন বন্ড।
যদি ইতিমধ্যেই পুজোর আগে করানো রং একদমই ফিকে হয়ে গিয়ে থাকে, এবং আবারও রং করানোর পরিকল্পনা করেন তা হলে চুলে রং করানোর পর অন্তত ৩ দিন চুল ধোবেন না। সেট হতে দেবেন।
অনেক সময় সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণেও চুলের ক্ষতি হয়, রং নষ্ট হয়। তাই চেষ্টা করুন সোজাসুজি সূর্যের তাপ যেন চুলে না লাগে। বাইরে বেরোলে ছাতা, স্কার্ফ ব্যবহার করুন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)