প্রতীকী চিত্র
পুজোর আগে ঘরদোর সাফসুতরো করার অভিযান চলে প্রায় সব বাঙালি বাড়িতেই। তাতে একটা বড় সময় নিয়ে নেয় রান্নাঘর। শুধু মেঝে, দেওয়াল বা জানলা দরজা নয়, এই ঘরের বাল্ব পরিষ্কার করাও একটা বড় ঝক্কি। রান্নাঘরে তেল-মশলার ব্যবহার অনেক বেশি। ফলে তেলের ক্ষুদ্র কণা বাল্বের গায়ে জমে যায়। তাতে বাল্ব দ্রুত চিটচিটে হয়, আলো কমে যায়, এমনকি আয়ুও কমে যেতে পারে। নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে এ ঝামেলা এড়ানো সম্ভব।
কী কী করণীয়:
১.বাল্ব পরিষ্কার করুন: প্রথমে সুইচ বন্ধ করে বাল্ব ঠান্ডা হতে দিন। নরম কাপড় বা টিস্যুতে হালকা সাবান মেশানো জল বা ভিনিগার নিয়ে বাল্বের কাচ আলতো করে মুছে নিন। শুকনো কাপড় দিয়ে ভাল করে মুছে আবার হোল্ডারে লাগান।
২.কভার ব্যবহার করুন: বাল্বের ওপরে কাচের কভার বা প্লাস্টিক শেড ব্যবহার করলে তেল সরাসরি বাল্বে জমবে না।
৩.চিমনি/এগজস্ট ফ্যান চালান: রান্নার সময়ে চিমনি বা এগজস্ট ফ্যান চালালে ধোঁয়া ও তেল বাইরে বেরিয়ে যাবে।
৪.নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন: অন্তত সপ্তাহে এক বার বাল্ব ও আশেপাশের এলাকা মুছে ফেলুন।
৫.LED লাইট ব্যবহার করুন: LED লাইটে তাপ কম হয়। তাই তেল কম ধরে এবং পরিষ্কারও সহজে হয়।
ঘরোয়া উপায়ে রান্নাঘরের বাল্ব কী ভাবে পরিষ্কার রাখবেন?
১.ভিনিগার ও জলের মিশ্রণ: পরিমাণ মতো ভিনিগার ও জল মিশিয়ে তাতে নরম কাপড় ভিজিয়ে বাল্ব আলতো করে মুছে দিন। শুকনো কাপড়ে আবার মুছে জায়গা মতো লাগান।
২.লেবু ও বেকিং সোডা: একটি লেবুর টুকরোয় বেকিং সোডা ছড়িয়ে বাল্বে ঘষুন। বেশি দাগ হলে ১০-১৫ মিনিট রেখে আবার মুছে ফেলুন। লেবুর প্রাকৃতিক অ্যাসিড তেলের আস্তরণ তুলে দেয়। পরে শুকনো কাপড়ে মুছে নিন।
৩.ডিশ ওয়াশ লিকুইড: উষ্ণ গরম জলে কয়েক ফোঁটা ডিশ ওয়াশ মিশিয়ে নিন। কাপড়ে ভিজিয়ে বাল্ব মুছে নিন। তার পরে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
বাল্ব দীর্ঘদিন টেকসই রাখার কিছু সমাধান:
নিয়মিত ধুলো ঝাড়ুন। রান্নাঘরে যথেষ্ট পরিমাণে বাতাস চলাচলের জায়গা রাখুন। ভাজা-পোড়া রান্নার পর বাল্ব দ্রুত মুছে ফেলুন। সব সময়ে বাল্ব ঠান্ডা হলে ও সুইচ বন্ধ করে পরিষ্কার করবেন। নিয়মিত যত্ন নিলেই বাল্ব থাকবে পরিষ্কার, আর রান্নাঘরও থাকবে ঝকঝকে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।