১। পুজোর আগে ঘর পরিষ্কার ও অন্দরসজ্জার চল নতুন নয়। নতুন আসবাবের ভিড়ে পুরনো ‘সফ্ট টয়’দের অবহেলা করবেন না যেন! বরং প্রতিমা বরণের আগে তাদেরও দিন নতুন রূপ।
২। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ধুলোর আস্তরণ সরিয়ে ফেললেই ঝকঝকে পুতুলকে লাগবে নতুনের মতো। কী ভাবে পরিষ্কার করবেন সেগুলিকে? রইল টিপ্স।
৩। প্রথমে একটি পাত্রে উষ্ণ গরম জল নিন। তার পরে তাতে মিশিয়ে নিন সামান্য পরিমাণে ডিটারজেন্ট। অথবা শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে পারেন।
৪। এ বার তুলনায় আকারে ছোট পুতুলগুলিকে সেখানে ভিজিয়ে নিয়ে খানিক ক্ষণ রেখে দিন সে ভাবেই। ১-২ ঘণ্টা পর জল থেকে তুলে এক এক করে পরিষ্কার জলে সেগুলিকে ধুয়ে নিন। এ বার ‘এয়ারড্রাই’ করে নিলেই আবার আগের মতো চমক ফিরে আসবে।
৫। তবে সব নরম পুতুল কিন্তু জলে ধোওয়ার উপযুক্ত হয় না। কিছু কিছু পুতুলের মধ্যে ব্যাটারি অথবা কোনও ইলেক্ট্রনিক্সের যন্ত্রাংশ ভরা থাকে। জলে সেগুলি খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৬। তবে সরাসরি জলের সংস্পর্শে না আনলেও ভেজা রুমাল বা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতেই পারেন এগুলিকে। প্রথমে নরম কোনও কাপড়কে শ্যাম্পু অথবা ডিটারজেন্ট মেশানো জলে ভিজিয়ে নিন।
৭। তার পরে ভেজা কাপড়টি দিয়ে আলতো হাতে পুতুলগুলিকে পরিষ্কার করে নিন। খুব বেশি ঘষাঘষির দরকার নেই। পরে অন্য একটি শুকনো কাপড় দিয়ে ভেজা জায়গা মুছে নিন। এতে পুতুলের ভিতরের অংশও ভিজবে না এবং পুতুলটি পরিষ্কারও হয়ে যাবে।
৮। অনেক লোম বা পালক যুক্ত পুতুলের ক্ষেত্রে ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করা গেলে আরও ভাল। এতে ভিতর থেকে ধুলো টেনে বার করে আনা যায়। তার পরে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে লোমগুলিকে আঁচড়ে নিন।
৯। অনেক রকম সাবান বা ডিটারজেন্ট খেলনার রং ফিকে করে দিতে পারে। একেবারে বিবর্ণ করে দেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিটারজেন্টের মিশ্রণে ডোবানোর আগে পুতুলের এমন একটি জায়গা যা সচরাচর চোখে পড়বে না, সেখানে মিশ্রণের কিছুটা অংশ লাগিয়ে দেখতে পারেন। যদি রং নষ্ট না হয়, তা হলে এটি দিয়ে পরিষ্কার করতেই পারেন।
১০। কিছু বড় আকারের পুতুল ওয়াশিং মেশিনে ঢোকানোও যেমন সমস্যার, তেমন নিজে পরিষ্কার করাও পরিশ্রমের কাজ। অনেক সময়ে পুতুলের গায়েই চেন লাগানো থাকে। সেটি খুলে ভিতর থেকে যাবতীয় তুলো বা কাপড় বার করে পাশে রেখে দিন। তার পরে খোলসটিকে জলে চুবিয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন। এ বার তুলো-কাপড় আবার আগের জায়গায় ভরে দিলেই কাজ শেষ। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।