108 Lotuses in Sandhi Puja

১০৭ বা ১১০ নয়, এমনকি একশোও নয়, কেন ১০৮টি পদ্মই লাগে সন্ধিপুজোয়?

হিন্দুধর্মে ১০৮ সংখ্যাটি অত্যন্ত শুভ ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তাই অনেক পুজোতেই ১০৮টি পদ্ম বা অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করার প্রচলন রয়েছে।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:০৪
Share:

প্রতীকী চিত্র

উমার আরাধনায় সন্ধিপুজোয় ১০৮টি পদ্মফুল ও ১০৮টি প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা রয়েছে। সনাতন ধর্মে এই সংখ্যাটি এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এই সংখ্যাটিকে শুভ ও পবিত্র হিসেবে ধরা হয় এবং মনে করা হয় এটি দেবী দুর্গার বিভিন্ন লীলার সঙ্গে সম্পর্কিত। এর নেপথ্যে কিছু পৌরাণিক কাহিনি ও ধর্মীয় বিশ্বাস জড়িয়ে আছে।

Advertisement

কখন সন্ধিপুজো হবে, তার নির্দিষ্ট নিয়মও রয়েছে সনাতন বিশ্বাসে। অষ্টমী তিথির শেষ দণ্ড (২৪ মিনিট) এবং নবমী তিথির প্রথম দণ্ড (২৪ মিনিট) মিলিয়ে ৪৮ মিনিট সময়কে সন্ধিকাল বলা হয়। তখনই হয় সন্ধিপুজো। এই পুজোয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০৮টি লাল পদ্ম। পাশাপাশি, দেবীর সামনে জ্বালাতে হয় ১০৮টি প্রদীপ।

পুজোর এই রীতির কিছু উল্লেযোগ্য কারণ হল-

Advertisement

পদ্মফুলের বিশেষত্ব: পদ্মফুল পবিত্র এবং দেবী দুর্গার খুব প্রিয় একটি ফুল। তাই ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করে দেবীর পুজো করা হয়।

ধর্মীয় বিশ্বাস: ১০৮ সংখ্যাটি সনাতন হিন্দু ধর্মে বিশেষ স্থান অধিকার করে। এটি আধ্যাত্মিক এবং শুভ বলে মনে করা হয়।

পৌরাণিক কাহিনি: রামায়ণে আছে, লঙ্কা জয় করার জন্য রাম দেবী দুর্গার পুজো করার সংকল্প করেছিলেন। কিন্তু দেবীকে সন্তুষ্ট করতে পারছিলেন না। তখন বিভীষণ তাকে ১০৮টি নীল পদ্ম দিয়ে পুজো করার পরামর্শ দেন। এর পরে হনুমান দেবীদহে যান নীল পদ্ম আনতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে ১০৭টি পদ্ম পান। তখন রাম নিজের একটি চোখ উপড়ে দেবীকে উৎসর্গ করতে উদ্যত হন, যা ছিল ১০৮তম পদ্মের প্রতীক। এতে দেবী সন্তুষ্ট হন। এর পরেই দেবী তাঁকে রাবণ বধের বর দেন।

সমগ্র পুজো: ১০৮ সংখ্যাটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের পুজোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই সংখ্যাটিকে সমগ্র পুজোর প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।

মন্ত্র জপ: মন্ত্র জপের ক্ষেত্রেও ১০৮ বার জপ করার নিয়ম আছে, যা এই সংখ্যার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement