দেবীর এক হাতে ফুলের প্রতীক, আরেক হাতে ভুট্টার ছড়া। বসে রয়েছেন সর্পের আসনে। এক ঝলক দেখে মনে হবে যেন লক্ষ্মীর সঙ্গে মিল, আরেক ঝলকে লাগবে দেবী লক্ষ্মীর মতো। কিন্তু আদতে কোন দেবীর ছবি এটি?
এটি আদতে দেবী লক্ষ্মীর ছবি। সামনে রাখা বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফল, ভুট্টা। তবে ভারতীয় বা এশিয়া মহাদেশে এই দেবী পূজিত হতেন না। হতেন সুদূর উত্তর আমেরিকায়।
উত্তর আমেরিকায় মেক্সিকোতে প্রাচীনকালে লক্ষ্মী এই রূপে পূজিত হতেন।
বাংলার লক্ষ্মীর মতোই এই মেক্সিকান লক্ষ্মী দেবীও শস্যের দেবী। তবে বাংলায় লক্ষ্মীশ্রীর প্রতীক যেমন ধানের ছড়া, তেমন এই দেশের লক্ষ্মীর প্রতীক ভুট্টা।
তবে বাংলার লক্ষ্মী বলুন বা মেক্সিকান লক্ষ্মী, দুজনের পছন্দের রং কিন্তু লাল।
শুধু তাই নয়, দুই দেশেরই দেবীর গায়ের রঙেও রয়েছে অদ্ভুত মিল!
কেবল মেক্সিকো নয়, পেরু, রোম, মিশর, দক্ষিণ পূর্বের একাধিক দেশ, এমনকী গ্রিসেও বিভিন্ন রূপে পূজিত হতেন লক্ষ্মী।
বাংলায় কোজাগরী পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মীপুজো করেন অনেকে। আবার কোনও কোনও বাড়িতে দীপান্বিতা কালীপুজোর দিন অলক্ষ্মী বিদায় করে লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।
চলতি বছর ৬ অক্টোবর কোজাগরী পূর্ণিমা শুরু হয়, চলে ৭ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত।
বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এদিন ধূপ, ধুনো জ্বালিয়ে, পাঁচালি পড়ে, শঙ্খধ্বনি এবং উলুধ্বনি দিয়ে আরাধনা চলেছে ধনদেবীর। (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।