১। পুজো আসার আগেই অন্দরসজ্জার হিড়িক। ঘর বানানো থেকে ঘর সাজানো, সাধারণত বাস্তু মেনেই সবটাই করে থাকেন সিংহভাগ মানুষ। কোন দিকে বারান্দা থাকবে, দুর্গামূর্তির অবস্থায় কোথায় হবে, সেই সবই মাথায় রাখা হয়। এমনকি ঘরের আল-বাতাস ঠিকঠাক ঢুকছে কি না, অথবা অন্দরসজ্জার সঙ্গে মানানসই হচ্ছে কি না, সেই সবকিছু ভেবেই জানলা-দরজা করা হয়।
২। কিন্তু কখনও ভেবেছেন, এই সবের মাঝে অবহেলিত হয় ঘরের পর্দা? এ খানেও বাস্তুযোগ? জ্যোতিঃশাস্ত্র বলছে এমন কথাই। বাস্তুনিয়ম মেনেই ঘরে পর্দা লাগানো উচিত।
৩। যে কোনও রঙের পর্দা লাগালেই চলবে না। এর রংও প্রভাব ফেলে নিত্যদিনের জীবনে।
৪। সবুজ রং- সবুজ রং নতুন শুরুর প্রতীক। এ ছাড়া এটি বৃদ্ধি, সমৃদ্ধিকে বোঝায়। ঘরে সবুজ পর্দা থাকলে শিথিলতা বজায় থাকে।
৫। নীল রং- নীল রং মনে শান্তি এবং প্রশস্তি এনে দেয়। এটি আত্মবিশ্বাস এবং স্থিতিশীলতার প্রতীক। বিশ্রামের জায়গায় নীল রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন।
৬। হলুদ রং- এটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে জ্ঞান, বিশুদ্ধতা এবং একাগ্রতা। হলুদ রং মানুষেরা সুখ, আনন্দের প্রতিনিধিত্ব করে। হলুদ রঙের পর্দার ব্যবহারকে খুব শুভ বলে মানা হয়।
৭। সাদা রং- সাদা নিয়ে আসে নমনীয়তা। এটি বিশুদ্ধতা, সরলতা এবং পরিচ্ছন্নতার প্রতীক।
৮। লাল রং- লাল আবেগ, প্রেম, শক্তি এবং সাহসিকতাকে বোঝায়। এই রঙের পর্দা বসার ঘরে লাগাতেই পারে। তবে শোয়ার ঘরটা এরিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
৯। কমলা রং - কমলা রং নিয়ে আসে প্রাণবন্ততা। বলা হয়, এই রং নাকি শক্তি এবং লক্ষ্যেরও প্রতীক। বসার ঘরে এই পর্দা লাগানো যেতেই পারে।
১০। গোলাপি পর্দা- এটি নারীত্ব, শৈশব এবং সৌন্দর্যের প্রতিনিধিত্ব করে। গোলাপি রং জীবনে আনন্দ, সৃজনশীলতা নিয়ে আসে। শোয়ার ঘর সাজাতেই পারেন গোলাপি রঙের পর্দায়। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )