সদ্যই দুর্গাপুজো চলে গেল। সামনেই আসছে দেবী শ্যামা। কালীর আরাধনায় মেতে উঠবে গোটা বঙ্গ। কিন্তু দুর্গা হোক বা কালী, সবই তো দেবী শক্তির রূপ।
ভারতের বুকে একাধিক দুর্গা বা কালী মন্দির থাকলেও এই ১০টি মন্দিরকে মনে করা হয় দেবী শক্তি এবং অলৌকিক শক্তির পীঠস্থান। কী কী রয়েছে সেই তালিকায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
শুরু করা যাক জম্মু কাশ্মীর থেকে। এই রাজ্যেই অবস্থিত বৈষ্ণ দেবী মন্দির। বৈষ্ণ দেবীকে মাতা রানিও বলা হয়ে থাকে। দেবীর এই রূপ আসলে মহাকালী, মহালক্ষ্মী এবং মহাসরস্বতীর মিলিত রূপ।
এর পর আসা যাক, একটি সতীপীঠে। অসমের গুয়াহাটির নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দির। এটি যেন নারী শক্তির আরাধনার পীঠস্থান। মনে করা হয় সতীর যোনি পড়েছিল এই স্থানে। অম্বুবাচীর সময় এখানে বিরাট মেলা বসে।
গুজরাটে রয়েছে অম্বাজি মন্দির। এখানে শ্রীযন্ত্র পূজিত হয়। এখানে দেবীর আটটি হাত।
দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণীর মন্দিরও থাকবে এই তালিকায়। রানি রাসমণি নির্মিত এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িত আছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কিংবদন্তি।
অন্ধ্র প্রদেশে রয়েছে কনক দুর্গা মন্দির। বিজয়ওয়াড়ার ইন্দ্রকিলাদ্রি পাহাড়ে অবস্থিত এই মন্দির। এখানে দেবী কাঞ্চনবর্ণা, মহিষাসুরের উপর অধিষ্ঠিত তিনি।
অন্ধ্র প্রদেশে আরও এক দেবী মন্দির রয়েছে, ভ্রামরাম্বা মল্লিকার্জুন মন্দির। এখানে জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে যেমন, তেমনই এটি একটি শক্তিপীঠও। একই সঙ্গে পূজিত হন ভ্রামরাম্বা দেবী এবং মল্লিকার্জুন।
কর্ণাটকের চামুন্ডেশ্বরী মন্দির চামুন্ডি পাহাড়ে অবস্থিত। ১০০০ সিঁড়ি চড়তে হয় এই মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য।
বনশঙ্করী মন্দিরও কর্ণাটকে অবস্থার। দেবী বনশঙ্করী আদতে শাকম্বরী দেবীর রূপ। এই মন্দিরে রাহুকালের সময় অনুযায়ী পুজো হয়।
উত্তরাখণ্ডে আছে নয়না দেবী মন্দির। এটিও একটি সতীপীঠ, যেখানে মনে করা হয় দেবীর চোখ পড়েছিল।
উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে আছে শ্রী দুর্গা কুণ্ড মন্দির। এটি ১৮ শতকে তৈরি করা হয়েছিল। বাংলার এক রানিই এই লাল রঙের মন্দির নির্মাণ করেন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।