Campbagan Sadharan Durgotsab Committee

বিজলি বাতি জ্বালিয়ে এই পুজো শুরু হয় দেশ স্বাধীন হওয়ার বছরে

ক্যাম্পবাগান সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটি থিম সাবেকিয়ানাই। পুজোর পাশাপাশি এখানে থাকছে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির মতো সমাজ সচেতনমূলক অনুষ্ঠান।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:০০
Share:

স্বাধীনতা প্রাপ্তির বছরে গুটি কয়েক মানুষের হাত ধরে এই পুজোর পথ চলা শুরু। কয়েকটি বিজলি বাতি জ্বালিয়ে নিজেরাই হাতে হাতে মাতৃ আরাধনার জন্য মণ্ডপে নির্মাণ করেন। পরবর্তী কালে পল্লিবাসীর সকলের সহযোগিতায় এই পুজোর পরিসর বৃদ্ধি পায়। সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে মাতৃ প্রতিমা থেকে শুরু করে আরও নানা ক্ষেত্রে। পথ চলতে চলতে এই বছর তাঁরা পা দিয়েছেন তাঁদের ৭৬ তম বর্ষে।

Advertisement

কেবল পুজোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা নয়। পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিয়ে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির সমেত আরও কিছু সেবামূলক অনুষ্ঠান। এই ভাবে সকলকে নিয়ে আনন্দের সঙ্গে পুজোর মিলনোৎসবে মেতে ওঠেন সকলে। এ ছাড়াও আছে মা ও মেয়ের সিদুঁর খেলা।

প্রতি বছরের মতো এ বছর ও আয়োজন করা হয়েছে শারদোৎসবের। বিগত বছর গুলির মতো এই বছরেও ক্যাম্পবাগান সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটি থিম সাবেকিয়ানাই। পুজোকে সামনে রেখে এক গুচ্ছ সামাজিক প্রকল্প গ্রহণ করেছেন তাঁরা। ক্ষুদ্র পরিসরে যেন বৃহৎ আনন্দ হাট বসবে পুজোর সময়। প্রতিমা আনা থেকে বিসর্জন সবই নিজেরাই করেন এঁরা।

Advertisement

ক্লাবের কোষাধক্ষ শুভ্রনীল সাহার কথায়, ‘‘আগের থেকে আমাদের পুজোর পরিধি বেড়েছে। আগে এক চালার পুজো হত, কিন্তু এখন পাঁচ চালার পুজো হয়। পুজোর পাশাপাশি পাড়ার ছেলেমেয়েদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বড় করে সিঁদুর খেলার আয়োজন করা হয়। বাইরের অনেকে এই খেলায় অংশগ্রহণ করেন।’’

কী ভাবে যাবেন: পাইকপাড়ায় আশুবাবুর বাজার বাস স্টপে নেমে পাইকপাড়া রোতে ঢুকে মিনিট দুয়েক হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন এই মণ্ডপে।

প্রতিমা শিল্পী: রুদ্রজিৎ পাল

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন