কলকাতার দুর্গোৎসব মানেই থিমের আঙিনায় নতুন আবিষ্কার।
এ বার হাতিবাগান সর্বজনীন তাদের ৯১তম বর্ষে হাজির করেছে এমন এক কাহিনি, যা শহরের বুকেই আছে, অথচ চোখের আড়ালে। থিমের নাম—‘অথঃ ঘাট কথা’।
উত্তর কলকাতার বিস্মৃত ঘাটগুলিকেই আলোয় আনছেন শিল্পী তাপস দত্ত ও ফরাসি শিল্পী থমাস হেনরিয়ট। চলছে এই দুই জন শিল্পীর অসামান্য যুগলবন্দি।
এক সময়ের উত্তর কলকাতার ঘাট মানেই ছিল আড্ডা, নাটকের মহড়া, কুস্তির আসর কিংবা উৎসবের মঞ্চ। আজ অনেকটাই বিস্মৃত।
তাপসের ভাষায়, “উত্তর কলকাতার ঘাটগুলিকে নিয়ে ‘অথঃ ঘাট কথা’ বলে এই কাজ করছি।”
তিনি আরও বললেন, “আসলে বেনারসের ঘাট নিয়ে আমরা যতটা হই-হুল্লোড় করি, আমাদের কলকাতাতেও কিন্তু অনেক পুরনো ঘাট আছে।
পরে আরও যোগ করে বলেন, “যেই ঘাটগুলির আড়ালে পড়ে যাওয়া ইতিহাস আছে, যাদের প্রচার নেই, সেই ঘাটগুলিকেই পুজোর সময় মানুষের সামনে তুলে ধরা, এটাই উদ্দেশ্য।”
এই কাজে তাঁর পাশে মৃৎশিল্পী হিসেবে রয়েছেন পরিমল পাল।
তবে মূল ভাবনা, নকশা ও উপস্থাপনায় নেতৃত্বে রয়েছেন তাপস ও থমাস। উত্তর কলকাতার ঘাটের ইতিহাস ও স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরাই তাঁদের উদ্দেশ্য।
হাতিবাগানের মণ্ডপের জন্য থমাস নিজের হাতে এঁকেছেন ২২ ফুট বাই ৪ ফুটের এক বিশাল ক্যানভাস। ২০,০০০ সোনালি সুতোয় বোনা এই ছবিতে যেন কলকাতার গঙ্গার পাড়ের এক টুকরো জীবনকে তুলে ধরা হয়েছে। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )