পুজোর ক’দিন কলকাতায় একদম থাকতে ইচ্ছে করছে না? সমুদ্রের জলে পা ভিজিয়ে, নোনা হাওয়ায় বরং তা হলে কাটিয়ে আসুন সমুদ্রসৈকতে। বহু দিনের চেনা দিঘা বা মন্দারমণি নয়, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একটু অফবিট কোন সৈকতে যেতে পারেন, চলুন তারই হদিস দেওয়া যাক।
ফ্রেজারগঞ্জ: সাদা বালির এই সমুদ্র সৈকত কয়েক দিন ছুটি কাটানোর একেবারে আদর্শ জায়গা। শান্ত পরিবেশে মন ভাল হতে বাধ্য। এখানে প্রতি বছর বহু পরিযায়ী পাখি আসে। তাই এ বার পুজোর ছুটির গন্তব্য হতেই পারে এই সাগরতীর।
জুনপুট: রসুলপুর ও হলদি নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত এই জায়গাটি যেমন মনোরম, তেমন শান্ত। এখনও পর্যটকদের ভিড়ের ছোঁয়া তেমন লাগেনি এখানে। তাই পরিবার নিয়ে ক’দিন এখানে নিরিবিলিতে কাটিয়ে আসতেই পারেন।
তাজপুর: মন্দারমণি আর দিঘার মাঝামাঝি এই সমুদ্রসৈকতটিও এ বার পুজোয় আপনার গন্তব্য হতেই পারে। শান্ত জলরাশি, লাল বালির এই সাগরতট যেন বিশ্রামের আদর্শ জায়গা।
সাগর দ্বীপ: গঙ্গা যেখানে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে মিলিত হয়েছে, এ বার পুজোয় সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। ফাঁকায় ফাঁকায় কপিল মুনির আশ্রম ঘুরে দেখে নিতে পারেন এই সময়ে।
বকখালি: পাখিদের কলতান আর নোনা হাওয়ায় এক-দু’দিন কাটাতে চাইলে বকখালি থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। নৌকোয় চেপে ঘুরে নিতে পারেন কাছের ম্যানগ্রোভ জঙ্গল থেকে।
শঙ্করপুর: দিঘার খুব কাছে এই সমুদ্রসৈকতেও তেমন ভিড় হয় না। সামুদ্রিক খাবার খেয়ে, আশপাশের সৌন্দর্য দেখে কাটিয়েই দিতে পারেন পুজোর দিনগুলো। চাইলে গাড়ি ভাড়া করে দিঘা ঘুরে আসতে পারেন। কাছেই রয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির।
উদয়পুর: পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার সীমানায় এই সমুদ্রসৈকত কিন্তু আপনার এ বারের পুজোর ছুটির ঠিকানা হতে পারে। সমুদ্র স্নান থেকে শান্ত, নিরিবিলি পাড় ধরে হাঁটা, আলসে ছুটির আমেজ– সবই এখানে সম্ভব। রয়েছে ঝাউবনও।
হলদিয়ার মেরিন ড্রাইভ: কোস্ট গার্ড জেটি থেকে মাত্র ৬ কিমি দূরত্বে এই জায়গাটিতে রয়েছে সবুজ চর, নৌকোবিহারের আনন্দ। সঙ্গে নদীর পাড়ে বসে থাকলে অনবরত জাহাজের আনাগোনা মন ভরিয়ে দিতেই পারে।
তা ছাড়া, বাঙালির অতি চেনা এবং কাছের দিঘা আর মন্দারমণি তো আছেই। চাইলে এই দুটোর একটিও আপনার গন্তব্য হতেই পারে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।