প্রতীকী চিত্র।
উৎসব শেষ। আবারও সেই চেনা জীবন, চেনা ছকে ফেরার পালা। কিন্তু তাও পুজো শেষের মন খারাপ দূর করতে চাইলে ক’টা দিন বেরিয়ে আসতেই পারেন। ভিড়, কোলাহল থেকে দূরে কোথাও যেতে চাইলে এই পাহাড়ি জায়গাগুলোর একটাতে যেতে পারেন।
মহারাষ্ট্রের চিখলদারা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ক’টা দিন কফি চাষের এই জায়গায় মন্দ লাগবে না। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি এখানে বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময়। কী কী পাবেন? সবুজে ঢাকা পাহাড় যা চোখ আর মনকে আরাম দেবে। সঙ্গে রয়েছে ছোট বড় নানা ধরনের ঝর্না। মোজারি পয়েন্ট, গভিলগড় দুর্গ, ভীমকুণ্ড পয়েন্ট, দিগম্বর জৈন মন্দির, হারিকেন পয়েন্ট, ইত্যাদি জায়গা দেখে ফেলুন।
অরুণাচল প্রদেশের জিরোকেও রাখতে পারেন এই তালিকায়। সবুজে ঘেরা, টাটকা বাতাসে ভরপুর এই উপত্যকায় গেলে মন ভরে যাবে। এখানেই বাস আপাতানি আদিবাসীদের। ফলে এখানে গেলে দেখা পাবেন তাঁদের করা বিশেষ ধরনের চাষাবাদের।
পাহাড়ি এলাকার নাম করব আর হিমাচল প্রদেশের কোনও জায়গার নাম থাকবে না তাতে তাই হয় কখনও? তীর্থান উপত্যকায় যেতে পারেন। জালোরি পাস থেকে সেরোলসর হ্রদ, তীর্থান নদী দেখে ফেলুন। এই নদীর পাশে বসেই অনেকটা সময় কেটে যাবে।
উটি তো অনেকবার গিয়েছেন, বা বেশ পরিচিত জায়গা। এ বার স্বাদ বদলাতে তার বদলে চলে যেতে পারেন তামিল নাড়ুর ইয়েরকডে। ঝর্না থেকে গুহা, ভিউ পয়েন্ট, সহ নানা দর্শনীয় স্থান রয়েছে এই জায়গায়।
উত্তরাখণ্ডের মুন্সিয়ারিও যাকে বলে ছবির মতো সুন্দর। বীর্থি ঝর্না, খালিয়া টপ, নন্দা দেবী মন্দির সহ অন্যান্য জায়গা ঘুরে নিন। আর এখানে এই সময় পঞ্চচুল্লি রেঞ্জ গোটাটা দেখা যায় আকাশ পরিষ্কার থাকার দরুন।
হাতের কাছে উত্তরবঙ্গ যেতে চাইলে চলে যান অফবিট গ্রাম রংভঙে। চা বাগান চাইলে চা বাগান পাবেন, ছোট্ট পাহাড়ি ঝর্না তো আছেই, আর আছে যে দিকে তাকাবেন সে দিকেই চোখ জুড়ানো সবুজের সমারোহ। রাতে এখান থেকে মিরিক এবং শিলিগুড়ির অপরূপ শোভাও দেখা যায়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।