‘এবিপি ওয়েডিংস মাতৃসম্মান ২০২৫’
চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। অপরূপ দেবী প্রতিমা। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত। চন্দননগরের মানুষের কাছে জগদ্ধাত্রী পুজো শুধু এক উৎসব নয়, এক আলাদাই আবেগ, এক অবিচ্ছেদ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই উৎসবকে ঘিরে চন্দননগর আলোকিত হয় তার নিজস্ব শিল্পশৈলী, আলোকসজ্জার বৈচিত্র্য এবং থিম-ভিত্তিক প্যান্ডেলের অপূর্ব সৃষ্টিতে। বিশেষ করে চন্দননগরের লাইটিং আর্ট, যা দেশ-বিদেশে সমানভাবে প্রশংসিত, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় তা রূপ নেয় এক অনন্য শিল্পকল্পনায়। পুজো চলাকালীন গঙ্গার ঘাট থেকে শহরের গলিপথ, সব জায়গায় থাকে উৎসবের মোহময় আবহ, মেলা, খাবারের দোকান ও ভক্তি-মিশ্রিত আনন্দোৎসব।
এই উৎসবের আবহে আলোকময় শহর চন্দননগর সাক্ষী থাকল এক জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের, ‘এবিপি ওয়েডিংস মাতৃসম্মান ২০২৫’। ‘এবিপি ওয়েডিংস’-এর উদ্যোগে এবং ‘আইআইএইচএম’-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ছিল চন্দননগর, মানকুণ্ডু ও আশপাশের অঞ্চলের সেরা জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটিগুলিকে সম্মান জানানো।
এই আয়োজন প্রত্যাশার থেকেও অনেক বেশি সাড়া ফেলেছিল। অসংখ্য পুজো কমিটি উৎসাহের সঙ্গে তাদের নাম নিবন্ধিত করেন। অনেক কমিটির সদস্যরাই জানান, এমন একটি বড় প্ল্যাটফর্মে তাদের পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও শিল্পভাবনার স্বীকৃতি পাওয়া নিঃসন্দেহে সম্মানের।
প্রাথমিকভাবে জমা পড়া ছবি ও ভিডিয়োর ভিত্তিতে মোট ৮০টি পুজোকে নির্বাচন করা হয়। এর পরে বিশিষ্ট বিচারকমণ্ডলী বেছে নেন ‘গর্বিত ১৫’, এই অঞ্চলের সেরা ১৫টি পুজোকে।
‘গর্বিত ১৫’-এর তালিকা:
বিচারকমন্ডলী নির্বাচিত পুজো প্যান্ডেলগুলিতে গিয়ে থিম, সজ্জা, প্রতিমা নির্মাণশৈলী এবং আলোকসজ্জা ইত্যাদি বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করেন। এই বিচার প্রক্রিয়ার পর ঘোষণা করা হয় নিম্নলিখিত পুরস্কার:
সেরার সেরা: লিচুতলা জগদ্ধাত্রী বারোয়ারি পুজো কমিটি
সেরা প্রতিমা: বোড় পঞ্চাননতলা সর্বজনীন
সেরা মন্ডপ সজ্জা: দিনেমারডাঙা পঞ্চপাণ্ডব জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি
সেরা আলোকসজ্জা: মধ্যাঞ্চল সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো সমিতি
যেখানে বছরভর প্রত্যেকটি পুজো কমিটি অপেক্ষা করে থাকে এই পুজোকে ঘিরে নিজেদের শিল্পভাবনা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে, সেখানে এই স্বীকৃতি আগামী দিনে আরও ভাল কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে।
বিশদে জানতে ভিডিয়োটি দেখুন:
অংশগ্রহণকারী প্রতিটি পুজো কমিটি ‘এবিপি ওয়েডিংস’ এবং ‘আইআইএইচএম’-এর এই উদ্যোগে সামিল হতে পেরে নিজেদের গর্বিত ও আনন্দিত বলে মনে করেছেন। তাঁদের মতে এই ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা।
জগদ্ধাত্রী পুজোর শিল্পসৌন্দর্য, ভক্তি ও সামাজিক সম্প্রীতির অসাধারণ মিলনই এই শহরকে আলাদা করে তোলে। এই সম্প্রীতিকেই উদ্যাপন করতে এই বিশেষ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে চন্দননগরের ঐতিহ্যকে আরও গৌরবান্বিত করে তুলেছে।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘এবিপি ওয়েডিংস’—এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।