অঙ্ক কষতে বসে উত্তর না-মিললে ফের হিসেব মেলানোই দস্তুর। কেন্দ্রের কথায় এখন সেই কাজটিই করতে বসেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
অচল পাঁচশো, হাজারের নোট কত জমা পড়ল, গরমিল তার হিসেবেই। বাজারে যে-পরিমাণ অচল নোট ছিল, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান দেখে অর্থ মন্ত্রকই প্রশ্ন তুলেছে, কোথাও কোথাও একই নোট দু’বার গোনা হয়ে যায়নি তো! তাই ফের খাতায় বা কম্পিউটারে নোট জমার যে-হিসেব রয়েছে, তার সঙ্গে সিন্দুকের নগদের নোট মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চিফ জেনারেল ম্যানেজার জোস জে কাট্টুর আজ বিবৃতি দেন, ‘‘শীর্ষ ব্যাঙ্ক সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে, যাতে অচল নোট জমার হিসেব তাড়াতাড়ি প্রকাশ করা যায়।’’
কেন ভুল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে? অর্থ মন্ত্রক সূত্র বলছে, ৩০ ডিসেম্বর নোট জমার সময়সীমা ফুরিয়েছে। অনাবাসীদের কাছে অবশ্য তা বদলের সময় রয়েছে জুন পর্যন্ত। অথচ অচল নোটে বাজারে যে ১৫.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা ছিল, তার সিংহভাগই জমা পড়ে গিয়েছে বলে তথ্য মিলেছে। যদিও বহু জায়গায় আয়কর হানায় লক্ষ লক্ষ পুরনো নোট ধরা পড়েছে। তা পোড়ানো বা নর্দমায় ফেলার প্রমাণও মিলেছে। ১০ ডিসেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক শেষ জানিয়েছিল, ১২.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়ার কথা। তখনও জমার মেয়াদ ফুরোতে ২০ দিন বাকি। তার মধ্যেই এত নোট জমা পড়েছে দেখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে বার্তা যায়, হিসেবে নিশ্চয়ই ভুল হচ্ছে। তার পর থেকে অবশ্য নোট জমা নিয়ে টুঁ শব্দ করেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
ভুলের সম্ভাবনা কোথায়? অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, অনেক সময়ে একটি ব্যাঙ্কে আর একটি ব্যাঙ্ক টাকা রাখে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে আবার ডাকঘর বা সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থাকে। পুরনো নোট জমা শুরু হওয়ার পরে অনেকে যে-সব নোট বাতিল হয়নি, তা-ও অ্যাকাউন্টে জমা করেছেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই পুরনো টাকা ফের গোনা হয়ে থাকতে পারে।