Cheque Fraud

চেক জালিয়াতি রুখতে আরবিআইয়ের দাওয়াই ‘পিপিএস’! কী ভাবে মিলবে এই সুবিধা?

চেক জালিয়াতি রুখতে পজ়িটিভ পে সিস্টেম (পিপিএস) এনেছে আরবিআই। ঘরে বসেই এর সুবিধা নিতে পারেন গ্রাহক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

চেক জালিয়াতি রুখতে সক্রিয় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই। পজ়িটিভ পে সিস্টেম (পিপিএস) চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। উচ্চ মূল্যের চেকের অনুমোদনের ক্ষেত্রে ইলেট্রনিক ঢাল হিসাবে কাজ করছে এই সিস্টেম। গ্রাহকের টাকা সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে পিপিএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে আরবিআই।

Advertisement

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, ৫০ হাজার বা তার বেশি মূল্যের চেকের ক্ষেত্রে পিপিএসর সুবিধা পাবেন গ্রাহক। এর সাহায্যে চেক হস্তান্তরের আগে মূল বিবরণী সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে ইলেকট্রনিকভাবে জানাতে পারবেন তিনি। মূল তথ্যের মধ্যে অবশ্যই থাকবে চেক নম্বর, তারিখ, প্রাপকের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং টাকার অঙ্ক। চেকের বিবরণী হাতে পেয়ে যাওয়ায় ভাঙানোর সময়ে ঠিক ব্যক্তিকে অর্থ দেওয়া হচ্ছে কি না তা দেখে নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। আর এ ভাবেই জালিয়াতদের হাত থেকে গ্রাহকদের সুরক্ষিত করছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।

এখন প্রশ্ন হল, কী ভাবে পজ়িটিভ পে সিস্টেমের সুবিধা নেবেন গ্রাহক? আরবিআইয়ের আইনে বলা আছে অনলাইন ব্যাঙ্কিং, মোবাইল অ্যাপ বা এসএমএসের মাধ্যমে ঘরে বসেই চেকের বিবরণী সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে জানানো যাবে। এ ছাড়া গ্রাহক ব্যক্তিগতভাবে ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে ওই তথ্য দিতে পারেন। চেক জমা পড়লে গ্রাহকের দেওয়া তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে মিলিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তথ্যে গরমিল থাকলে পাশ হবে না ওই চেক। বিষয়টি গ্রাহককে জানিয়ে দেবে ব্যাঙ্ক।

Advertisement

অনেকের এই ধারনা রয়েছে যে পিপিএসের সুবিধা নিলে চেক ক্লিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে অনেকটা বিলম্ব হবে। তা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং এতে দ্রুত চেকের টাকা প্রদান করতে সক্ষম করতে পারবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি চেক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদান করবে পজ়িটিভ পে সিস্টেম।

বর্তমানে ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার চেকের ক্ষেত্রে চালু রয়েছে পিপিএসের সুবিধা। এতে একবার চেক সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার পর আর তা মুছে ফেলা যাবে না। তবে গ্রাহক চেক হস্তান্তরের পরও অর্থ প্রদান বন্ধ রাখার আবেদন করতে পারবেন। ২০২১ সাল থেকে এই পদ্ধতি চালু রেখেছে আরবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement