অনেক ক্রেতাই আর ফেরেননি কখনও

কলকাতা থেকে মফস্‌সল, গ্রাম থেকে শহরতলি— প্রায় সর্বত্র বিভিন্ন দোকানদার বলছেন, নোট বাতিলের ধাক্কা এখনও পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেননি তাঁরা। ক্রেতার সংখ্যা কমে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৪
Share:

নোটবন্দির সময়ে ক্রেতার বৃথা অপেক্ষায় থাকা কলেজ স্ট্রিট। চাতকের মতো চেয়ে থাকা কাপড়ের দোকান। দিনের পর দিন লোকসান গোনা গয়নার বিপণি। প্রায় সমস্ত বাতিল নোট ঘরে ফেরার পরে সকলেরই জিজ্ঞাসা, তা হলে ভাতে মেরে লাভ কী হল? কালো টাকার হদিস মিলল না। উল্টে হাঁড়ি চড়া বন্ধ হয়ে গেল বহু মানুষের ঘরে। ব্যবসার সেই যে ক্ষতি হয়েছে, এখনও তা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা যায়নি বলে অভিযোগ ছোট ব্যবসায়ীদের।

Advertisement

কলকাতা থেকে মফস্‌সল, গ্রাম থেকে শহরতলি— প্রায় সর্বত্র বিভিন্ন দোকানদার বলছেন, নোট বাতিলের ধাক্কা এখনও পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেননি তাঁরা। ক্রেতার সংখ্যা কমে গিয়েছে। তাঁদের অনেকের কথায়, ‘‘মনে হয় যেন বহু ক্রেতাই আর ফিরে আসেননি।’’ এক সোনা ব্যবসায়ী বলছিলেন, ‘‘সেই যে ব্যবসা বসেছে, এখনও সামলে উঠতে পারিনি।’’ ছোটখাটো উপহারের এক দোকানি বলছিলেন, ‘‘কেমন জানি ঠান্ডা মেরে গিয়েছে বাজার। তাতে পুরোপুরি প্রাণ ফেরেনি এত দিন পরেও।’’

ক্যালকাটা চেম্বার অব ট্রেডের চেয়ারম্যান এমেরিটাস ফিরোজ আলি বলেন, ‘‘নোট নাকচে ব্যবসার যা ক্ষতি হয়েছিল, তা আজও পূরণ করা সম্ভব হয়নি।’’ তাঁর দাবি, বড়বাজারে কাজ করেন হাজার দশেক দিনমজুর। ওই সিদ্ধান্তে কাজ হারিয়েছিলেন তাঁদের ৪০ শতাংশই। কালো টাকার বদলে এ ভাবে ক্রেতা নিখোঁজ হওয়ায় হতভম্ব ছোট ব্যবসায়ীরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন