কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়করে ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমায় কোনও বদল ঘটেনি, তা তো জানা। কিন্তু জানেন কি, আয়কর ছাড়ে বেশ কিছু অদলবদল করেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাবদ বছরে ৪০ হাজার টাকার কর ছাড়: যাতায়াত খরচ বাবদ আগে ১৯,২০০ টাকা এবং চিকিৎসা খরচের জন্য ১৫,০০০ টাকার উপরে কর ছাড়া মিলত। সব মিলিয়ে তা ছিল ৩৪, ২০০ টাকা। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার টাকা। অর্থমন্ত্রীর দাবি, এতে লাভবান হবেন প্রায় আড়াই কোটি চাকুরীজীবী।
সেস-এর হার বাড়ানো হয়েছে। আগে বছরে মোট আয়ের উপর করদাতাদের ৩ শতাংশ সেস দিতে হত। এ বার থেকে তা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে।
ইক্যুইটি ফান্ডে বিনিয়োগে লং-টার্ম ক্যাপিটাল গেনস ট্যাক্স (দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভ কর) দিতে হবে। নথিভুক্ত সংস্থার শেয়ার ১ বছরের বেশি ধরে রেখে তাতে ১ লক্ষ টাকার বেশি মুনাফা হলে ১০ শতাংশ দীর্ঘ মেয়াদি মূলধনী লাভ কর দিতে হবে। এর মধ্যে সেস যুক্ত নয়। ফলে ওই কর ছাড়াও সেস-সহ হিসেবে দিতে হবে ১০.৪ শতাংশ। তবে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারির আগে মুনাফা হলে তাতে কর দিতে হবে না। ১ এপ্রিলের পরে ওই শেয়ার বিক্রি করলেই কর দিতে হবে।
ইক্যুইটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে আয়ে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।
সিঙ্গল প্রিমিয়াম দিতে হয় এমন স্বাস্থ্যবিমায় বেশি কর ছাড় মিলবে। এর আগে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর ছাড়ের আবেদন করতে পারতেন করদাতারা। তবে বাজেটে তা বেড়ে গিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২ বছরের স্বাস্থ্যবিমায় ৪০ হাজার টাকা প্রিমিয়াম দিতে হলে আগে ১০ শতাংশ করছাড় মিলত। এখন তা বেড়ে হয়েছে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া, ৮০ডি ধারা বাবদ স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে বয়স্করা এখন ছাড় পান সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকা। পরের বছর থেকে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৫০,০০০ টাকা।
প্রবীণ নাগরিকেরা ব্যাঙ্ক-পোস্ট অফিসে জমায় আরও বেশি করছাড় পাবেন। এর মধ্যে রেকারিং ডিপোজিটও রয়েছে। আগে আয়কর আইনের ৮০টিটিএ ধারায় সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের থেকে আয়ে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ছাড় পেতেন। এখন ৮০টিটিবি ধারায় প্রবীণেরা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ছাড় পাবেন।