Electricity Office

রাজ্যে বিদ্যুৎ অফিস বন্ধ শনিবারেও

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বাড়তি ছুটি যেমন মিলবে, তেমনই সপ্তাহের অন্য পাঁচ দিন আধ ঘণ্টা বেশি কাজ করতে হবে কর্মীদের।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২০ ০৫:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

সরকারি বিদ্যুতের গ্রাহক হলে অনলাইনে বা কিয়স্কে গিয়ে যে কোনও সময় বিল জমা দিতে অসুবিধা নেই। তবে পয়লা এপ্রিল থেকেই রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বিভিন্ন অফিসে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কাজ সারতে বা বিল জমা নেওয়ার কাউন্টারে গিয়ে টাকা দিতে সময় পাওয়া যাবে সপ্তাহে পাঁচ দিন, সোম থেকে শুক্র। কারণ, এপ্রিল থেকে বিদ্যুৎ কর্মীদের রবিবারের সঙ্গে প্রতি শনিবারও ছুটি থাকবে। যা আশির দশক থেকে চালু হয়েছে সরকারের দফতরগুলিতে।

Advertisement

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বাড়তি ছুটি যেমন মিলবে, তেমনই সপ্তাহের অন্য পাঁচ দিন আধ ঘণ্টা বেশি কাজ করতে হবে কর্মীদের। সপ্তাহের পাঁচ দিন বাড়তি ১৫ মিনিট খোলা থাকবে বিল জমা নেওয়ার কাউন্টারগুলিও। সূত্রের দাবি, বিদ্যুৎ জরুরি পরিষেবা বলেই এই নতুন নিয়ম। বণ্টন সংস্থার সব অফিস ও গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে ৫টা ৩০ পর্যন্ত। বিল জমার কাউন্টারগুলি ৯টা ৩০ থেকে ৩টে ৪৫ পর্যন্ত বিল জমা নেবে। এখন ৩টে ৩০ পর্যন্ত নেয়।

রাজ্য বিদ্যুৎ কর্মীদের জন্য যে নয়া বেতন কমিটি তৈরি হয়েছিল, তাদের সুপারিশেই এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সম্প্রতি বেতনও সংশোধন হয়েছে কর্মীদের।

Advertisement

সূত্রের দাবি, কর্মীদের ছুটির সংখ্যা বাড়িয়ে কর্মজীবনে ভারসাম্য আনতে চায় বণ্টন সংস্থা। লক্ষ্য খরচ কমানোও। কারণ শনিবার আধ বেলা অফিস খুলে রাখতে বিভিন্ন খাতে বিপুল খরচ হয়। কর্তৃপক্ষের মতে, নতুন বেতন দিতে বণ্টন সংস্থার বছরে যে খরচ হবে, তাতে কিছুটা সুরাহা হবে ওই সাশ্রয়ে।

বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনেক ভেবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। অফিস ছুটি থাকলেও জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ওই দিন হবে।’’ তাঁর দাবি, বণ্টন সংস্থার অনেক কাজই এখন বাইরের সংস্থাকে দিয়ে করানো হয়। তাই পরিষেবায় সমস্যা হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন