—প্রতীকী ছবি।
ব্যাটারিচালিত গাড়ি, বাইক বা স্কুটার (ইলেকট্রনিক্স ভেহিকল বা ইভি) নয়। আমজনতার বেশি পছন্দ হাইব্রিড মডেল। আর তাই এ বার ইভিতে লগ্নি কমানোর সিদ্ধান্ত নিল হন্ডা মোটর। মঙ্গলবার, ২০ মে বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছে ওই জাপানি গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা। হাইব্রিড মডেলের (দু’ধরনের জ্বালানি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে) নতুন কিছু গাড়ি বাজারে আনার ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা হল টয়োটা মোটর। বৈদ্যুতিন গাড়ির ক্ষেত্রে তাদের অবস্থাও তথৈবচ। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে ইভি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৩০ শতাংশ হ্রাস করবে বলে ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছে তারা।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন হন্ডা মোটরের সিইও তোশিহিরো মিবে। তাঁর কথায়, ‘‘বাজার বোঝা সত্যিই খুব কঠিন। তবে বৈদ্যুতিন গাড়ি সে ভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ইভির বিক্রি এক- পঞ্চমাংশে নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই হাইব্রিড মডেলের দিকে নজর ঘোরাতে বাধ্য হয়েছি আমরা।’’
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে হন্ডা মোটর বৈদ্যুতিন গাড়ি এবং তার সফ্টঅয়্যারের জন্য প্রস্তাবিত লগ্নির পরিমাণ ৩০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। ফলে সেটি সাত লক্ষ কোটি ইয়েন বা ৪,৮৪০ কোটি ডলাকে নেমে এসেছে। বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা কমার নেপথ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকেও দায়ী করেছেন আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
আমেরিকার বাজারে ইভি বিক্রির সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০৩০ সালের মধ্যে বিক্রি হওয়া সমস্ত গাড়ি বৈদ্যুতিন হতে হবে বলে ঘোষণা করে তাঁর প্রশাসন। কিন্তু, কুর্সিতে বসেই সেই নিয়মে দাঁড়ি টানেন ট্রাম্প। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে হঠাৎ করেই ইভি বিক্রির সূচক পড়তে শুরু করেছে। এর আঁচ যে জাপানি গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাগুলির গায়ে লেগেছে, তা স্পষ্ট।
এই পরিস্থিতিতে হন্ডা জানিয়েছে, ২০২৭ সাল থেকে চার বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মোট ১৩টি নতুন প্রজন্মের হাইব্রিড মডেল বাজারে আনবে তারা। বর্তমানে জাপানি সংস্থাটির এক ডজনের বেশি হাইব্রিড মডেল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অবশ্য হন্ডার মাত্র তিনটি হাইব্রিড মডেলের গাড়ি রয়েছে। সেগুলি হল, হ্যাচব্যাক শ্রেণির সিভিক এবং সেডান শ্রেণির অ্যাকর্ড ও সিআর-ভি।