(বাঁ দিকে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ কম নয়। কিন্তু তাতে ভারতের রফতানি যৎসামান্য। ফলে ঘাটতিও বিরাট। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফর শুরুর ঠিক আগে সেই বাণিজ্যে ভারসাম্য আনার ডাক দিল সরকার।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহর পৌঁছেছিল ৭০০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। যার মধ্যে ভারতের রফতানি ছিল মাত্র ৪৯০ কোটি। সেখানে রাশিয়ার ৬৩৮০ কোটি। ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ১০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে দু’পক্ষ। আজ বণিকসভা ফিকি-র এক কর্মসূচিতে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ‘‘বাণিজ্য বাড়াতে হবে। চাই ভারসাম্য এবং বৈচিত্র।’’ মন্ত্রীর বক্তব্য, ভোগ্যপণ্য, খাদ্যপণ্য, গাড়ি, ট্র্যাক্টর, ভারী বাণিজ্য যান, স্মার্টফোন, শিল্প ক্ষেত্রের যন্ত্রাংশ এবং বস্ত্র ক্ষেত্রের সামনে রাশিয়ায় রফতানি বৃদ্ধির ভাল সুযোগ রয়েছে। ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য বিধি সরল করতে রাশিয়ার কাছে আবেদন জানান বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল। আবার একই কর্মসূচিতে রুশ প্রেসিডেন্টের দফতরের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ম্যাক্সিম ওরেস্কিন-ও ভারসাম্যের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানান, রাশিয়া সারা পৃথিবী থেকে যা আমদানি করে তাতে ভারতের অবদান মাত্র ২ শতাংশেরও কম। তা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে কৃষি, ওষুধ, টেলিকম যন্ত্রাংশ, শিল্প যন্ত্রাংশ এবং মানবসম্পদ ক্ষেত্রে।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত তিন বছরে মস্কো থেকে তেল আমদানি বিপুল ভাবে বাড়িয়েছে ভারত। বাণিজ্য ঘাটতি চওড়া হওয়ার সেটাও বড় কারণ। পুতিনের এই সফরের পরে দুই সহযোগী বাণিজ্যে কোন পদ্ধতিতে কতটা ভারসাম্য ফেরাতে পারেন, সে দিকেই এখন নজর সকলের।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে