ভোটের দিন ঘোষণার পরে নাগাড়ে পাঁচ দিন বেড়েছে সেনসেক্স।
লাল শালু নাড়লে ‘বুল’রা তেতে ওঠে। ভারতে ব্যালটের সঙ্গে ‘বুল’দের সম্পর্কও অনেকটা তেমনই। অতীতে বেশির ভাগ সময়ে বাজার তেতে উঠেছে ভোট ঘোষণার পরে। আগের চারটি লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে তিনটিতেই। প্রায় ৭ থেকে ৩৭ শতাংশ। এ বারের ছবিটাও সেই রকম।
হালে সেনসেক্স ফের ঢুকেছে ৩৮ হাজারের ঘরে। ফলে আচমকাই খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে ইকুইটি ফান্ডে (শেয়ার বাজার নির্ভর) লগ্নিকারীদের মনে। মাঝখানে সূচকের অস্থিরতায় প্রমাদ গুনতে শুরু করেছিলেন যাঁরা। বহু দিন ধরেই এর ন্যাভ যতটা বাড়া উচিত, ততটা বাড়ছিল না। অনেক সময় কমেও গিয়েছিল। ফলে এখন কর সাশ্রয়কারী ইএলএসএসের মতো ইকুইটি ফান্ড ভাঙিয়ে নেওয়া যেতে পারে, যদি লগ্নি তিন বছর বা তারও বেশি পুরনো হয়ে থাকে। বিশেষত ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ একেবারে শেষ লগ্নে। কর বাঁচানোর জন্য লগ্নির বাকি থাকা কাজ সারতে হবে ক’দিনের মধ্যেই। সেই লক্ষ্যে চাইলে ফের নতুন কোনও ইএলএসএস প্রকল্প কেনাও যায়।
ভোটের দিন ঘোষণার পরে নাগাড়ে পাঁচ দিন বেড়েছে সেনসেক্স। দাঁড়িয়েছে ৩৮,০২৪ অঙ্কে। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর সূচক বন্ধ হয়েছিল ৩৮,০৯১ পয়েন্টে। তবে বাজার শুধু ভোট ঘোষণার কারণে উঠছে না। সমীক্ষা বলছে, এ বারও দিল্লির মসনদে বসবে সংখ্যা গরিষ্ঠের সরকার। আর তাতেই আশায় বুক বেঁধেছে সে। কারণ, লগ্নিকারীরা সব সময়ে চায় মিলিজুলি নয়, স্থিতিশীল সরকার আসুক। যাতে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কড়া হাতে। চট করে তার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সূচক এতটা বাড়লেও ছোট সংস্থার শেয়ারগুলি কিন্তু দৌড়ে শামিল হয়নি। তার উপরে অর্থনীতির স্বাস্থ্যও এখন তেমন মজবুত নয়। শিল্প বৃদ্ধি তলানি ছুঁয়েছে। মাথা তুলেছে মূল্যবৃদ্ধি। ভাল খবর বলতে শুধু রফতানি বাড়া ও বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি কমা। যা ১৭ মাসের সব থেকে নীচে নেমেছে।
(মতামত ব্যক্তিগত)