BUsiness

প্রত্যাশা জাগিয়েও ভারত থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে এই গাড়িগুলো

ভারতের রাস্তায় এক সময় দাপিয়ে বেড়াত এরা। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, প্রযুক্তি যত উন্নত হয়েছে, তার সঙ্গে যুঝতে না পেরে এরা ক্রমশ উধাও হয়েছে। এমনই ১০টি স্টেশন ওয়াগনযা দেশবাসীর বিস্মৃতিতে চলে গিয়েছে সেই তালিকাটা এক বার দেখে নেওয়া যাক।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ১৩:৪৬
Share:
০১ ১১

ভারতের রাস্তায় এক সময় দাপিয়ে বেড়াত এরা। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, প্রযুক্তি যত উন্নত হয়েছে, তার সঙ্গে যুঝতে না পেরে এরা ক্রমশ উধাও হয়েছে। এমনই ১০টি স্টেশন ওয়াগনযা দেশবাসীর বিস্মৃতিতে চলে গিয়েছে সেই তালিকাটা এক বার দেখে নেওয়া যাক।

০২ ১১

ফিয়াট পদ্মিনী প্রিমিয়ার সাফারি: ভারতের রাস্তায় যে স্টেশন ওয়াগনগুলো দেখা যায় তাদের মধ্যে প্রথম পদ্মিনী প্রিমিয়ার। প্রস্তুতকারক সংস্থা মুম্বইয়ের স্টারলাইন মোটরস। ১৯৭৩-এ ভারতের বাজারে আসে এটি। প্রথম দিকে জনপ্রিয়তা পেলেও পরের দিকে লুক এবং ফিচারে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ে আশির দশক থেকেই প্রায় হারিয়ে যায়।

Advertisement
০৩ ১১

এইচএম অ্যাম্বাসাডর এস্টেট: প্রস্তুততারক সংস্থা হিন্দুস্তান মোটরস। ১৯৫৮ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশের বাজারে আসে গাড়িটি। একটা সময়ে গাড়ি বলতে প্রথম পছন্দ ছিল অ্যাম্বাসাডরই। ধিরে ধিরে অ্যাম্বাসাডরের এই ভ্যারিয়্যান্টটির চাহিদা কমতে থাকে। হিন্দুস্তান মোটরস সংস্থাটি বন্ধ হয়ে যায় ২০১৪-য়। ফলে গাড়ির উত্পাদনও স্তব্ধ হয়ে যায়।

০৪ ১১

মারুতি বালেনো অলটুরা: এই সময়কার সেডানগুলোর মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে আকর্ষণীয়। গাড়িটিতে পাওয়ার স্টিয়ারিং, ইলেকট্রিক উইন্ডো-সহ সমস্ত স্বাচ্ছন্দ্য থাকা সত্ত্বেও সে ভাবে গ্রাহকদের মনে সাড়া জাগাতে পারেনি। ১৯৯৯-এ এই স্টেশন ওয়াগনটি ভারতের বাজারের আসে। মাত্র আট বছরের মধ্যে অর্থাত্ ২০০৭-এ এর উত্পাদন বন্ধ হয়ে যায়।

০৫ ১১

স্কোডা অক্টাভিয়া কম্বি: এটি এস্টেট ভ্যারিয়্যান্ট। স্টাইল, ডিজাইন এবং প্রযুক্তি— কোনও দিক থেকেই খামতি ছিল না। শর্ট ট্রিপ হোক বা লং ট্রিপ, এই গাড়ি তার সমকালীন গাড়িগুলোকে টেক্কা দিত। দাম ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই গাড়ির চাহিদা কমে আসায় রাস্তা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে।

০৬ ১১

ওপেল কোরসা সুইং: ২০০৩-এ বাজারে আসে গাড়িটি। কোরসা সেডানের মতো দেখতে ছিল এই স্টেশন ওয়াগনটি। ভারতের বাজারে সে সময় যে সব স্টেশন ওয়াগনগুলো ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম ছিল এটি। সর্বোচ্চ গতি ছিল ১৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।

০৭ ১১

টাটা ইন্ডিগো মারিনা: টাটা ইন্ডিকার উত্তরসূরি ইন্ডিগো। এর যে সব ভ্যারিয়্যান্টগুলো ছিল তার মধ্যে অন্যতম মডেল মারিনা। প্রথম দিকে সাড়া জাগালেও এর গুণগত মানের কারণেই ভারতের বাজারে চাহিদায় ভাটা পড়ে। ডিজেল, পেট্রোল দুটো ভ্যারিয়্যান্টই এনেছিল টাটা। ২০১২-য় এর উত্পাদন বন্ধ হয়ে যায়।

০৮ ১১

রোভার মন্টেগো স্টেশন ওয়াগন: ব্রিটেনের রোভার মোটরস-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতের বাজারে এই মডেলটি নিয়ে আসে বেঙ্গালুরুর সিপানি অটোমোবাইলস। ১৯৯৩-তে ভারতের বাজারে আসে গাড়িটি। সানরুফ ও সেল্ফ লেভেলিং সাসপেনশনের মতো ফিচার ছিল এতে।

০৯ ১১

টাটা এস্টেট: টাটা মোটরস অর্থাত্ তত্কালীন টেলকো-র প্রথম যাত্রিবাহি গাড়ি টাটা এস্টেট। ১৯৯২-তে এর উত্পাদন শুরু হয়। তবে ২০০০ সালের পর গাড়িটির উত্পাদন বন্ধ করে দেয় টাটা। সে সময় ভারতের আধুনিতম গাড়িগুলির মধ্যে ছিল এস্টেট। তবে সাসপেনশন, অত্যধিক ফুয়েল কমসাম্পসন, ক্রুটিযুক্ত ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের কারণে চাহিদা হারায়।

১০ ১১

ফিয়াট উইকএন্ড: সিয়েনা-বেসড স্টেশন ওয়াগন এটি। ২০০২-এ ভারতের বাজারে আসে গাড়িটি। মডেলটির ডিজাইন করেন জিওরগেট্টো গুইগিয়ারো। সংস্থার রঞ্জনগাঁও প্ল্যান্টে গাড়িটি উত্পাদন করা হত। অন্যান্য ফিয়াটের মতোই এর ভাগ্য সদয় হয়নি।

১১ ১১

ফিয়াট পালিও অ্যাডভেঞ্চার: ফিয়াট উইকএন্ড-এর অ্যাডভেঞ্চার মডেল পালিও। দুর্দান্ত লুক, ফিচার থাকা সত্ত্বেও গাড়িপ্রমেীদের চাহিদা অর্জন করতে পারেনি। ফলে শেষমেশ মডেলটির উত্পাদন বন্ধ করে দেয় সংস্থা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement