ভারত থেকে লগ্নি টানার লক্ষ্যে মার্কিন সরকারের ‘রোড-শো’-এর তালিকায় প্রথমে দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাই থাকলেও, বাদ পড়েছিল কলকাতা। তবে এ বার বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের উদ্যোগে সামান্য বদলাচ্ছে সেই তালিকা। আমেরিকার ওই প্রতিনিধিদলকে রাজ্যে আনতে উদ্যোগী হয়েছে বণিকসভাটি। তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট অম্বরীশ দাশগুপ্ত সোমবার জানিয়েছেন, অবশেষে ১৬ অক্টোবর কলকাতায় আসবেন ‘সিলেক্ট ইউএসএ’-এর প্রতিনিধিরা।
মাস চারেক আগে কলকাতায় এসে দিল্লির মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি পল ফ্রস্ট তাঁর দেশে লগ্নি টানার এই কর্মসূচি ‘সিলেক্ট ইউএসএ’-এর প্রসঙ্গে বলেন, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই এতে ঠাঁই পেয়েছে। কারণ মার্চে ওয়াশিংটন ডি সি শহরের বিনিয়োগ সম্মেলনে শহর তিনটি থেকে সবচেয়ে বেশি সংস্থা অংশ নিয়েছিল। কলকাতা থেকে ছিল মাত্র দুটি। ফলে লগ্নি টানার ক্ষেত্রে কোন শহরের দর কতটা, তা ঠিক করে নিয়েই অক্টোবরের রোড-শোয়ের জন্য বিপণনে নেমেছিল মার্কিন সরকার। তবে রাজ্যের বণিকমহলের একাংশের বক্তব্য ছিল, এ ধরনের কর্মসূচিতে জায়গা পেলে পরবর্তীকালে মার্কিন লগ্নিকারীদের মধ্যে কলকাতা সম্পর্কেও আগ্রহ তৈরি হতে পারে। যা রাজ্যের ভাবমূর্তি তৈরিতে সাহায্য করবে।
এ দিনও এই ভাবমূর্তির উপরেই জোর দেন বেঙ্গল চেম্বার কর্তা। জানান, কৃষি, স্বাস্থ্য, ছোট ও মাঝারি শিল্প ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি- এই চার ক্ষেত্রে তাঁদের কাজ করার পরিকল্পনা তো আছেই। পাশাপাশি রাজ্যের ভাবমূর্তি তৈরিতেও ঝাঁপাবেন তাঁরা। আর সেই প্রসঙ্গেই মার্কিন দলের আসার কথা জানিয়ে অম্বরীশবাবু বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যের সম্ভাবনা, সুযোগ-সুবিধা ওঁদের কাছে তুলে ধরেছি। ওঁরা রোড-শোয়ের তালিকায় এখন কলকাতাকেও যুক্ত করেছেন।’’
এ দিকে, বণিকসভাটি জানিয়েছে, রাজ্যে কৃষি ও শিল্পের ভবিষ্যৎ বুঝতে তৃণমূলস্তরে গবেষণা চালাতে চায় তারা। এ জন্য উপদেষ্টা সংস্থা ‘ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভান’-কে নিয়োগও করা হয়েছে।
সকলের কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমজনতার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করবেন বলেও এ দিন জানিয়েছেন অম্বরীশবাবু ও বণিকসভার ভাইস প্রেসিডেন্ট চন্দ্রশেখর ঘোষ। এ জন্য জেলা স্তরের বণিকসভাগুলির সঙ্গে যৌথ ভাবে উদ্যোগী হবেন তাঁরা।