৭৭০১ জন পড়ুয়ার নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি (পিপিএস) ও পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউ (পিপিআর)-এর ফলাফল। সাত হাজারের বেশি পড়ুয়ার ১ থেকে ১০ নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে। তবে শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এখনই ফলাফল দেখতে পারবেন না পড়ুয়ারা। তবে শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
স্ক্রুটিনি এবং রিভিউ মিলিয়ে মোট ৪২,৫২৪ জনের আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে মোট ৭৭০১ জনের পরিবর্তন হয়েছে। ৩৪,৮২৩ জনের ফলাফলে কোনও বদল হয়নি। স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন জমা পড়ে ২৪,৬৩০ জনের। নম্বর পরিবর্তন হয়েছে ৩,৭২১ জনের। ২০,৯০৯ জনের ফলাফলে কোনও পরিবর্তন হয়নি। ১৭,৮৯৪ টি আবেদন জমা পড়েছিল রিভিউয়ের জন্য। ৩,৯৮০ জনের নম্বরে পরিবর্তন হয়েছে এবং ১৩,৯১৪ জনের কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই ৭৭০১ জনের মধ্যে ৭৩২৬ জনের ১ থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩৪৮ জনের ১১ থেকে ২০ নম্বর বেড়েছে। ১৮ জনের ২১ থেকে ৩০ নম্বর বৃদ্ধি হয়ছে এবং ৩১ এর বেশি নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে ৯ জনের। সংসদ সূত্র জানাচ্ছে, স্কুলগুলিকে আগামী ৫ জুনের মধ্যে পড়ুয়াদের পুরনো মার্কশিট শিক্ষা সংসদের কাছে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে প্রকাশ করা হয়েছিল পিপিএস ও পিপিআর-এর তৎকাল প্রক্রিয়ার ফলাফল। যেখানে ১ থেকে ২০ নম্বর বৃদ্ধি পেয়েছিল ৯৮ জনের। এ ছাড়াও ২১ থেকে ৩০ নম্বর বেড়েছিল ১২ জনের এবং ৩১-র বেশি নম্বর বেড়েছিল ২০ জনের। পিপিএস-পিপিআর মিলিয়ে মোট নম্বর বেড়েছিল ২,৬৮৯ জনের। তবে সর্বোচ্চ নম্বর বৃদ্ধি কত, তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি সংসদ। এর ফলে বদল হয়েছিল মেধাতালিকাতেও। চলতি বছর মেধাতালিকায় প্রথম ১০-এ মোট ৭২ জন ছিল। কিন্তু পিপিএস-পিপিআর-এর ফল ঘোষণার পর আরও এক জনের নাম যুক্ত হয় ওই তালিকায়। তিনি আলিপুরদুয়ারের সালকুমার হাট হাই স্কুলের পড়ুয়া মৌমা বিশ্বাস। তালিকায় তাঁর স্থান ছিল একাদশ। রিভিউয়ের পর দু’নম্বর বেড়েছিল তাঁর। মেধাতালিকার নবম স্থানে এখন বাকি ১৭ জনের সঙ্গে তাঁরও নাম যুক্ত হয়। ৪৮৭ থেকে বেড়ে মৌমার প্রাপ্ত নম্বর এখন ৪৮৯।