আইআইটি খড়্গপুর। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দক্ষ পেশাদার তৈরি করতে উদ্যোগী ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) খড়্গপুর। এ বার প্রতিষ্ঠানের তরফে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে রাজ্যের গ্রামীণ এবং শহরতলি এলাকার যুব সম্প্রদায়ের জন্য। এ জন্য আইআইটি-তে গড়ে তোলা হবে একটি কেন্দ্রও।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসেই ‘স্কুল ফর স্কিলস: হেলথকেয়ার অ্যান্ড টেকনোলজি’ গড়ে তোলা হবে। সহায়তা করবে 'ফাউন্ডেশন ফর ইনোভেশন্স ইন হেলথ' নামক একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা। প্রাথমিক ভাবে ১৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এখানে। এর পর ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক (এনএসকিউএফ)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চালু করা হবে স্বল্পমেয়াদি কোর্স। যার প্রথম ব্যাচের ক্লাস শুরু হবে চলতি বছরের নভেম্বরে। জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরও কিছু কোর্স করানোয় ভাবনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানের।
জানা গিয়েছে, কোর্স সম্পূর্ণ করলে পড়ুয়াদের হেলথকেয়ার সেক্টর স্কিল কাউন্সিল-এর তরফে শংসাপত্র দেওয়া হবে। প্রশিক্ষিতেরা এর পর প্রতিষ্ঠানের শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সুপার স্পেশ্যালিটি-সহ অন্য হাসপাতালেও রোগী পরিষেবা দেওয়ার কাজে যোগ দিতে পারবেন। এ ছাড়া, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের একাংশ সরাসরি কাজ করবেন রাজ্যের গ্রামীণ অঞ্চলে। সেখানেই হাতেকলমে যাচাই করে নেওয়া হবে আইআইটি খড়্গপুর উদ্ভাবিত স্বাস্থ্যপ্রযুক্তির কার্যকারিতা। যাতে যথাযথ স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান তৈরি করা সম্ভব হয়।
প্রতিষ্ঠানের তরফে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূল স্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করতেই এই উদ্যোগ। পাশাপাশি, মহিলাদের ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়ানো, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের উন্নয়ন করাও লক্ষ্য।
আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী বলেন, “আমরা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি করতে চাই। গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার আমূল পরিবর্তন এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।”