প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অনীহার জেরেই কোথাও ছাত্র সংসদ ভোট হচ্ছে না, বলে হাইকোর্টে দাবি করেছিল রাজ্য। রাজ্যের সে বক্তব্য নস্যাৎ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়েছেন,তাঁরা ছাত্রসংসদ নির্বাচনের জন্য সরকারি নির্দেশের অপেক্ষায়।
দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়নি। এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ২৬ অগস্ট ওই মামলার শুনানিতে রাজ্য বলে, ‘‘ছাত্রভোট করাতে কোথাও বাধা দেয়নি রাজ্য। কিন্তু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভোট করাতে আগ্রহ দেখায়নি।’’
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য তা জানতে চাওয়া হলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত বলেন, ‘‘ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে যে প্রস্তুতি থাকার প্রয়োজন তা রয়েছে। সরকারের নির্দেশ আসার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।’’
প্রসঙ্গত, আদালতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বলেছিলেন, ‘‘ছাত্রভোট করাতে কোথাও বাধা দেয়নি রাজ্য। এমনকি, ভোট করানোর জন্য সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। কিন্তু কলেজগুলিই উদ্যোগী হয়নি।’’ পাল্টা মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, কোন কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় এমনটা করছে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে তথ্য দিক রাজ্য। তিনি বলেন, ‘‘আদালত এগুলো রেকর্ড করুক।’’ বস্তুত, তাঁদের দাবি, রাজ্যই ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ রেখেছে। আর ভোট করানোর জন্য দায়বদ্ধ রাজ্যই। তাই ভোট না-হলে দায়বদ্ধ থাকতে হবে তাদেরই।