প্রতীকী ছবি।
উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রায় ৫০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থী নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন। কিন্তু চাকরিতে যোগ দিলেন না তাঁরা। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, এই ৫০০ জনের মধ্যে বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীই ‘পোস্টিং লোকেশন’ বা কর্মক্ষেত্রের স্থান নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্ট। প্রান্তিক এলাকার স্কুলে নিযুক্ত হওয়ার জন্য বা সংশ্লিষ্ট স্কুল পছন্দ না হওয়ায় অনেকেই কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি। জানা গিয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি থেকে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু কাজে যোগ দেননি।
দীর্ঘ ১২ বছর অপেক্ষার পর শুরু হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। এত বছর অপেক্ষার পরেও চাকরি করতে চান না ৫০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থী। এমনকি তাঁদের এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এঁরা প্রত্যেকেই কাউন্সেলিং-এ উপস্থিত থেকে নিয়োগপত্র গ্রহণ করেছিলেন।
এখনও পর্যন্ত কাউন্সেলিং চলছে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের। ষষ্ঠ কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। পদ পূরণ না হওয়ায় সপ্তম কাউন্সেলিং হবে। আগামী সপ্তাহেই হয়তো সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে। শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তিও জারি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৪১০ জন পরীক্ষার্থীর কাউন্সেলিং এখনও বাকি রয়েছে। কাউন্সেলিং-এর সময়ও দেখা গিয়েছে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের অনুপস্থিতি এবং প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা অনেক বেশি। এই শূন্য স্থান কী ভাবে পূরণ করা হবে সেই বিষয়ে এখনও স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
গত বছরের ২৮ অগস্ট হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে ১৪,০৫২ জনের চাকরি সুনিশ্চিত করে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। যদিও জাতিগত এবং শিক্ষাগত কিছু গরমিলের কারণে ৯৬ জন চাকরিপ্রার্থীর নাম বাতিল করে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ কমিশন মেধা তালিকা প্রকাশ করেছিল। তার পরে দফায় দফায় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সুপারিশপত্র দেওয়া শুরু হয়। সুপারিশপত্র পাওয়ার পরে চাকরিপ্রার্থীদের বাকি থাকে শুধু স্কুল থেকে নিয়োগপত্র নেওয়া। সেখানেই নিয়োগপত্র হাতে নিয়েও চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন না ৫০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থী।