শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান এবং নিয়োগ নিয়ে সতর্কতা বৃদ্ধি করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করল সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পরিষদ। প্রতীকী চিত্র।
ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা কারিগরি বিদ্যায় শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান এবং নিয়োগ নিয়ে শঙ্কায় সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পরিষদ। সেই শঙ্কা দূর করতে এবং প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে শিল্প ও অন্য ক্ষেত্রের মেলবন্ধন বাড়াতে বিশেষ ফেলোশিপ প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই কর্মসূচির মাধ্যমে অধ্যাপক, শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঠিক দিশা দেখাতে পারেন।
অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের (এআইসিটিই) তরফে ‘ইন্ডাস্ট্রি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম’-এর বিশদ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাতেই পরিষদের বার্তা, বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমেছে, বাজারে চাহিদার নিরিখে কাজ বা কাজ শেখার সুযোগেও ভাটা পড়েছে। পরিষদের মতে, ছাত্রদের কর্মযোগ্য করে তোলা এবং চাকরির পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের ৩৫০ জন ফ্যাকাল্টি সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করেছে পরিষদ। প্রতি বছর ১,৫০০ জনকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ বছরে । তবে, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানদান ছাড়াও শিক্ষকদের নিজেদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি, শিল্পসংস্থায় কাজের পরিবেশ এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানারও সুযোগ থাকছে।
এর আগে ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে ক্লাসরুম ভিত্তিক শিক্ষাদানের উৎকর্ষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করেছিল এআইসিটিই। তবে, এ বার শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে থেকে কাজের পদ্ধতি এবং নবীন স্নাতকদের চাহিদা সম্পর্কিত বিষয়ে তাঁদের ওয়াকিবহাল করা হবে। এ ক্ষেত্রে অধ্যাপক, শিক্ষকদের বাছাই করে নেবে শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি।
তবে, প্রশিক্ষণের সুযোগ সেই সমস্ত ফ্যাকাল্টি সদস্যই পাবেন, যাঁদের এআইসিটিই অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম পাঁচ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ছ’মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ফেলোশিপ হিসাবে ৭৫ হাজার টাকা এবং যে সংস্থায় থেকে প্রশিক্ষণ নেবেন, তার তরফে ২৫ হাজার কিংবা তার বেশি অর্থ দেওয়া হবে। ১ অগস্ট থেকে চলতি বছরের প্রশিক্ষণ শুরু হতে চলেছে।