প্রতীকী চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও জট কাটল না কলকাতা, যাদবপুর-সহ রাজ্যের ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি এখনও থমকে।
উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, রাজভবনের তরফ থেকে অনুমোদন মেলেনি। বরং, মঙ্গলবার তারা ফাইল ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে বিকাশ ভবনে। ফলে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।
কিন্তু কেন এমন হল?
রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের যে প্রতিলিপি পাঠিয়েছে সেখানে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকলেও উপাচার্যদের নামের তালিকা নেই। তাই ফেরত পাঠানো হয়েছে ফাইল।
যদিও উচ্চশিক্ষা দফতরের দাবি, ওই তালিকা দেবে সুপ্রিম কোর্ট। বিকাশ ভবনের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরেও জটিলতা তৈরি করতে চাইছে রাজভবন। দফতরের এক আধিকারিক জানান, তাঁরা ফের রাজভবনের উপাচার্যদের নামের তালিকা পাঠিয়েছেন। আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া তাঁদের হাতে আর কিছু নেই।
গত ৯ অক্টোবর উচ্চশিক্ষা দফতর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কপি, রাজভবনকে পাঠিয়ে দেয়। ছ’টি বিশ্ববিদ্যালযের জন্য সরকার প্রস্তাবিত উপাচার্যদের নামের তালিকা নিয়ে যে রাজভবনের দ্বিমত নেই, তা সেখানে উল্লেখ করা ছিল।
কলকাতা ও যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য না থাকার ফলে গবেষণার পাশাপাশি প্রশাসনিক বহু কাজ আটকে পড়েছে বলে অভিযোগ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম বক্স মণ্ডল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সচল রাখার জন্য স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ অত্যন্ত জরুরি। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে সেখানে আচার্যের উচিত অবিলম্বে দ্রুত পদক্ষেপ করা।”
তবে, ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সহমত হলেও বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জটিলতা এখনও কাটেনি। দ্বিমত মেটাতে বুধবার রাজ্য সরকার এবং আচার্যের আইনজীবীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের। কিন্তু সেই আলোচনাও বুধবার স্থগিত হয়ে গিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর সেই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।