গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
সিভিল সার্ভিসেস-এর যোগ্যতা অর্জন পরীক্ষার দ্বিতীয় পত্রের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়তি সুবিধা পায়! এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। উত্তরে ইউপিএসসি-র চেয়ারম্যান অজয় কুমার বলেন, ‘‘সব ধরনের পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। এই পত্রের পরীক্ষায় ৩৩ শতাংশ নম্বর পেতে হয়, তাই এর সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা যাচাই করে নেওয়া হয়।’’
উল্লেখ্য, সিভিল সার্ভিসেস-এর প্রিলিমস-এর পরীক্ষায় দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নে ভাষা, কোয়ান্টিটেটিভ এবিলিটি এবং লজিক্যাল রিজ়নিং যাচাই করা হয়। সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং বা কোয়ান্টিটেটিভ বিষয় নিয়ে পাঠরতদের জন্য এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুব কঠিন না মনে হলেও অন্য শাখার পড়ুয়াদের প্রস্তুতিতে যথেষ্ট সমস্যা হয়ে থাকে।
প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কোচিং নির্ভরতা কমাতে হবে, এমনটাও পরামর্শ দিয়েছেন চেয়ারম্যান। তাঁর কথায়, ‘‘সেল্ফ স্টাডির কোনও বিকল্প হয় না। বেশির ভাগ সিভিল সার্ভিসেস অফিসার এই ভাবেই সাফল্য অর্জন করছেন। জয়েন্ট বা নিট-এর মতো পরীক্ষায় কোচিং করার অভ্যাসের কারণে এই ক্ষেত্রেও নির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’’
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ইউপিএসসি) ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। সরাসরি সম্প্রচার মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করেন অজয় কুমার। এই প্রশ্নোত্তর পর্বে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করা হচ্ছে, এই বিষয়েও জানতে চান পরীক্ষার্থীরা। তবে, বিষয়টি গুজব এবং তাতে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইউপিএসসি চেয়ারম্যান। ২০১৪-তে তৈরি হওয়া বিধি অনুযায়ী, অনূর্ধ্ব ৩২ বছর বয়সিরা ইউপিএসসি-র পরীক্ষা দিতে পারেন।
উল্লেখ্য, মে-জুন নাগাদ স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। তাই,১ জানুয়ারির বদলে ১ অগস্ট পর্যন্ত যাঁদের বয়স ৩২, তাঁরাই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এতে আগ্রহীদের বছর নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
আগামী দিনে ইউপিএসসি কী কী বিষয়ে আরও জোর দিতে চলেছে, তার আভাসও দিয়েছেন চেয়ারম্যান। চলতি বছরেই প্রশ্ন ফাঁস, ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের দৌরাত্ম রুখতে ‘আধার ইন্টিগ্রেশন’, ‘ফেস অথেন্টিকেশন’ চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও একটি নতুন পোর্টালের মাধ্যমে ডিজিটাল নজরদারি বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের।