মার্কিন ট্যাক্সি পরিবহণ সংস্থায় ‘না’ দিল্লি সরকারের

ট্যাক্সিচালকের বিরুদ্ধে দিল্লির এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরে রাজধানীতে ওই সংস্থার ট্যাক্সি পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল দিল্লি সরকার। মার্কিন ওই সংস্থা ‘উবের’কে কালো তালিকাভুক্ত করে সোমবার এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার এই নির্দেশের কথা জানিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:৩৮
Share:

আদালতে হাজির করা হল ধৃত ট্যাক্সি চালককে। ছবি: এএফপি।

ট্যাক্সিচালকের বিরুদ্ধে দিল্লির এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরে রাজধানীতে ওই সংস্থার ট্যাক্সি পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল দিল্লি সরকার। মার্কিন ওই সংস্থা ‘উবের’কে কালো তালিকাভুক্ত করে সোমবার এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার এই নির্দেশের কথা জানিয়েছে।

Advertisement

রবিবার ‘উবের’-এর তরফে এই ঘটনার তদন্তে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এ দিন সরকারের সিদ্ধান্তে কার্যত অবাক তারা। উবের-এর মতো বহু বেসরকারি পরিবহণ সংস্থা রাজধানীতে ট্যাক্সি পরিষেবা দেয়। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কালো তালিকায় শুধু ওই সংস্থাই কেন? এর আগে দিল্লিতে যখন নির্ভয়া-কাণ্ড ঘটে বাসের ভেতর, তখন তো বাস পরিষেবা বন্ধ করা হয়নি! তবে এ ক্ষেত্রে সরকার কেন এমন ব্যবস্থা নিল, উঠেছে সে প্রশ্নও। যদিও এ দিন উবের-এর সিইও ট্র্যাভিস কালানিক বলেন, “আমরা নির্যাতিতার পাশে আছি।”

গত ৫ ডিসেম্বর গুড়গাঁওয়ের একটি বেসরকারি সংস্থার মহিলাকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মার্কিন ওই ট্যাক্সি পরিবহণ সংস্থার চালক শিবকুমারের বিরুদ্ধে। ওই রাতে তরুণী উত্তর দিল্লির ইন্দ্রলোকে বাড়িতে ফেরার জন্য শিবকুমারের ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, ট্যাক্সিটিকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শিবকুমার তাঁকে ধর্ষণ করে। এর পরে বাড়ির অদূরে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ওই চালক। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর থেকেই দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় জোরকদমে তল্লাশি চালায় পুলিশ। রবিবার উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই দিন রাতে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

Advertisement

অভিযুক্তকে এ দিন তাকে আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, শিবকুমারকে জেরা করে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের দাবি, ২০১১-য় মেহেরৌলিতে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শিবকুমার। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রায় সাত মাস তিহাড় জেলে ছিল সে। পরে সেই মামলায় ছাড়াও পায়। অন্য কোনও মামলায় শিবকুমারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বেশি দূর পড়াশোনা করেনি। অল্প বয়সেই অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে শিবকুমার। বাড়ির লোকের সঙ্গেও তেমন একটা বনিবনা ছিল না। গত চার বছর ধরে দিল্লিতেই থাকত সে। দু’বছর আগে একটা গাড়ি কিনে ভাড়া খাটত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন