ধৃত সিপিআই-এমএল প্রার্থী মেহবুব আলম। ছবি: তরুণ দেবনাথ।
নদীঘাটের দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিহারের কাটিহার লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই-এমএল প্রার্থী মেহবুব আলমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত শুক্রবার দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে কাটিহারের জেলাশাসকের দফতর থেকে বার হতেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইটাহার সংলগ্ন বিহারের আবাদপুর থানার পুলিশ। ২০০৯ সালে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার সুরুণ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়িওল এলাকায় থাকা নদীঘাট ঘিরে গোলমাল হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে উত্তর দিনাজপুর আদালত।
মেহবুব আলমের বাড়ি বাড়িওল এলাকা থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে আবাদপুর থানার শিবানন্দপুর এলাকায়। তিনি সিপিআই-এমএলএর কাটিহার জেলা সম্পাদকের পদেও রয়েছেন। সিপিআই-এমএলের টিকিটে মেহবুব আলম ২০০০ ও ২০০৫ সালে কাটিহার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন।
শনিবার মেহবুবকে রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর জামিনের আবদন নাকচ করে আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ দিন আদালতে দাঁড়িয়ে মেহবুব বলেন, “আমি নির্দোষ। কোনওদিনও ফেরার ছিলাম না। লোকসভা নির্বাচনে আমার জয় নিশ্চিত বুঝেই বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি ষড়যন্ত্র করছে।”
২০০৯ সালের ৪ মে সন্ধ্যায় সেতু দখলকে কেন্দ্র করে ইটাহারের বাড়িওল এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে নদীর ওপারের বিহারের বাড়িওল, আবাদপুর ও শিবানন্দপুর এলাকার বাসিন্দাদের সংঘর্ষ হয়। গুলিও চলে। সংঘর্ষে দুপক্ষের অনেকে জখম হন। সংঘর্ষের পর ইটাহারের বাড়িওল এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নিখোঁজ হয়ে যান বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের বিহারের বাড়িওল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ইটাহারের বাড়িওল এলাকার বাসিন্দা মিজানুদ্দিন মহম্মদ নামে এক ব্যক্তি মেহবুববাবু সহ আবাদপুরের ৬ জন বাসিন্দার নামে ইটাহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।