হরিদেবপুরে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ডব্লু সিংহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে ওই অভিযুক্তের স্ত্রী ও তার এক শাগরেদকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ডব্লুকে দিঘার একটি হোটেল থেকে শুক্রবার রাতে কলকাতা পুলিশের গুণ্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেন। ঘটনার পর থেকে দিঘার ওই হোটেলে লুকিয়ে ছিল সে। সঙ্গে ছিল তার সঙ্গী বাবুসোনা। তাকেও গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। পুলিশের দাবি, তাকে জেরা করে ওই রাতেই হরিদেবপুর থানার পুলিশ শম্পা সিংহ নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করে কলকাতা থেকে। শম্পা ডব্লুর স্ত্রী বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ জানিয়েছে, ডব্লুর বিরুদ্ধে হরিদেবপুর এবং ঠাকুরপুকুর থানায় প্রায় ৪০টিরও বেশি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে ১০টি খুনের মামলা রয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।
পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার রাতে হরিদেবপুরের ধাওয়ান কলোনির কাছে তৃণমূল আশ্রিত দু’দল দুষ্কৃতীর সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ওই এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী ডব্লুকে আটক করে। পুলিশের দাবি, তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে ওই দুষ্কৃতীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় ওই কলোনির বাসিন্দা এক দল হামলাকারী। যার মধ্যে ছিল ডব্লু এবং তার স্ত্রী শম্পা। হামলাকারীদের আক্রমণে আহত হন হরিদেবপুর থানার এক সাব ইনস্পেক্টর। পুলিশের দাবি, ডব্লু, শম্পা ছাড়া ওই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন এলাকার এক তৃণমূল নেতা। তিনিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক বলে তদন্তকারীদের দাবি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় প্রস্তাবিত একটি বেসরকারি আবাসনে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ কে করবে তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদ চলছিল ডব্লু এবং পুটু বলে দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে। বুধবার রাতে সেই নিয়েই দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের দুটি গোষ্ঠীই তৃণমূলের আশ্রিত। ঘটনার পরেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সোমা চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন, অভিযুক্ত ডব্লু বা পুটু কেউ তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী নয়। তবে বাইরে থেকে ডব্লু বা পুটু যে কেউ দলকে সমর্থন করতে পারে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।